এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে চার মাস কারাগারে থাকা মিনহাজ মান্নান ইমন, বিদেশে থাকা তাসনিম খলিলসহ অন্য আট আসামিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ব্রোকারেজ হাউজ বিএলআই সিকিউরিটিজের কর্ণধার।
মিনহাজ মান্নান ইমন
তার সঙ্গে মামলার আসামি নেত্র নিউজের সম্পাদক সুইডেন প্রবাসী তাসনিম খলিল, জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম, হাঙ্গেরি প্রবাসী জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখারকেও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের কমর্চারী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন।
গত বছর ৬ মে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর এবং ব্যবসায়ী-লেখক মুশতাক আহমেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে ওই দুজনসহ ১১ জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ওই মামলা দায়ের করেন র্যাব-৩ এর ডিএডি আবু বকর সিদ্দিক।
পরদিন মিনহাজ মান্নান ও দিদারুলকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ফেইসবুক ব্যবহার করে জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ, করোনাভাইরাস মহামারী সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র/সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানো, অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগ আনা হয়।
গ্রেপ্তারের পর দিদারুল ভূঁইয়া (সামনে মাস্ক পরা) এবং পেছনে মিনহাজ মান্নান ইমন (পিপিই পরা)
ফেইসবুকে ‘I am Bangladeshi’ পেইজে সম্পৃক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় কিশোর, মুশতাক, দিদারুলকে, যে পেইজ থেকে রাষ্ট্রের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল বলে তখন দাবি করে র্যাব।
হোয়াটস অ্যাপ ও ফেইসবুক মেসেঞ্জারে কিশোর ও মুশতাকের সঙ্গে তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন সায়ের খান, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের ‘ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ’ পাওয়ার দাবিও করে র্যাব।
দিদারুল ও মিনহাজ ফেইসবুকে মুশতাকের ‘ফ্রেন্ড’ উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়, “তাদের সাথে হোয়াটস অ্যাপ ও ফেইসবুক মেসেঞ্জারে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
সে সময় গ্রেপ্তার হয়ে এখনও কারাগারে বন্দি আছেন কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মুশতাক। আর মিনহাজ মান্নান ও দিদার সেপ্টেম্বরে জামিনে ছাড়া পান।
এখন কিশোর, মুশতাক ও দিদারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়ে বাকিদের অব্যাহতির সুপারিশের পেছনে কারণ হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।