ক্যাটাগরি

ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে টাকা আদায়, ৬ পুলিশ গ্রেপ্তার

আনোয়ারা থানার পূর্ব বৈরাগ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল
মান্নানকে গত বুধবার রাতে তার বাড়ি থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছিল।
কয়েক ঘণ্টা আটকে থাকার পর ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি।

পরদিন বৃহস্পতিবার আব্দুল মান্নান থানায় মামলা করেন। তার
তদন্তে পুলিশ চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) স্পেশাল আর্ম ফোর্স (এসএএফ) শাখার ছয়
সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন- এসএএফ শাখার কন্সটেবল আব্দুল
নবী, এসকান্দর হোসেন, মনিরুল ইসলাম, শাকিল খান, মো. মাসুদ ও মোর্শেদ বিল্লাহ।

মান্নান বিডিনিউজ টোয়োন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাত ২টার
দিকে মোটর সাইকেল নিয়ে সাত-আটজন বাড়িতে এসে তার ভাই আবদুর নুরকে খোঁজে। তিনি
বাড়িতে না থাকায় তাকে ধরে নিয়ে যায়।

“লুঙ্গি ও স্যান্ডো গেঞ্জি পরা অবস্থায় আমাকে তারা
তিন কিলোমিটার দূরে চাতরি রোডের উত্তর দিকে নিয়ে যায়। তারপর বলে, বাড়িতে ফোন করে
১০ লাখ টাকা এনে দিতে। অত রাতে এত টাকা কোথায় পাব- এমনটা বলার পর বলে, ২০ মিনিটের
মধ্যে তিন লাখ টাকা এনে দিতে।”

মান্নানের মোবাইল ফোন থেকেই তার স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ
করে অপহরণকারীরা। এরপর

তাকে নিয়ে পটিয়া থানার ভেল্লা পাড়া ব্রিজের পূর্ব পাশে
কৈয়গ্রাম এলাকায় নিয়ে যায়।

মান্নান বলেন, “তারা খুবই অস্থির ছিল। এক ঘণ্টা পর
আমার ভাইরা ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা যোগাড় করে সেখানে যায়। তারা টাকা নিয়ে সেখান
থেকে চলে যায়। আমাকে সেখানেই রেখে যায়।”

অপহরণকারীদের একজনের গায়ের জ্যাকেট ‘ডিবি’ লেখা ছিল
বলে জানান তিনি। এবং তাদের কথোপকথনের সময় একজনকে মোরশেদ নামে ডাকতে শোনেন।

এরপর বৃহস্পতিবার আব্দুল মান্নান আনোয়ারা থানায় অজ্ঞাতনামাদের
আসামি করে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে মামলা করেন।

সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আবদুর রউফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন, “অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর তদন্তে ছয় পুলিশ সদস্যের
সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে
তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

মামলায় অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও
নিশ্চিত করেন পুলিশ কর্মকর্তা আবদুর রউফ।

গ্রেপ্তারের পর রোববার ছয়জনকে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দে’র আদালতে হাজির করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ওসি (প্রসিকিউশন) মো. হুমায়ুন কবির
জানান, আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

ওই আদেশের পর রোববার সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানো
হয়।