সোমবার মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-২ এই আদেশ দেয়।
জেল হাজতে গিয়েছেন মাগুরা সদর উপজেলার বাহারবাগ গ্রামের সাইফুল জর্দ্দার (৪৬), তাইব বিশ্বাস (৫০), ওসমান বিশ্বাস (৪৫), আকরাম বিশ্বাস (২৬), করিম বিশ্বাস (৫০) ও গোলাম আজম (৩৮)।
এই আদালতের আইনজীবী ইফাত আরা টুম্পা জানান, মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা বিলুপাড়ার সাইফুল জর্দ্দারের মেয়ের সঙ্গে মাগুরা সদরের বাহারবাগ গ্রামের গোলাম কুদ্দুসের ছেলে আফজাল হোসেনের বিয়ে হয় ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল। ২০২০ সালের ২৯ অগাস্ট আফজালের স্ত্রী ‘স্বামীর উপর অভিমান করে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা’ করে।
ওই বিষয়ে গৃহবধূর বাবা সাইফুল জর্দ্দার তার সহযোগী গোলাম আজমের প্ররোচনায় ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন বলে এই আইনজীবী জানান।
তিনি জানান, ওই মামলায় মৃত নারীর স্বামী আফজাল হোসেন, গোপাল গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান রাজিব, ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন সদস্য ছায়েমউদ্দিন চুন্নুসহ আট জনকে আসামি করা হয়।
“নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব ব্যুরোকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তে হত্যার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে অভিযোগ থেকে আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দেয়।”
আইনজীবী ইফাত আরা আরও জানান, অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর ‘সাজানো’ হত্যা মামলা করার অভিযোগে ছায়েম উদ্দিন চুন্নু বাদী হয়ে একই আদালতে বাহারবাগ গ্রামের সাইফুল জর্দ্দার, তাইব বিশ্বাস, ওসমান বিশ্বাস, আকরাম বিশ্বাস, করিম বিশ্বাস ও গোলাম আজমকে আসামি করে গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করেছেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মাগুরা সদর থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয় এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করে বলে ইফাত জানান।
“আসমিরা সোমবার মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম-২ এর আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত আবেদন নাকচ করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়।”