দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি কার্যক্রমের সময়সূচি জানিয়ে রোববার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটগুলোর বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত সূচিও শিগগিরিই প্রকাশ করা হবে বলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন জানিয়েছেন।
মেডিকেলে ভর্তি হতে আগ্রহীরা আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে নির্ধারিত ওয়েবাসাইটে (http://www.dghs.teletalk.com.bd) গিয়ে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করতে পারবেন। আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত ফরম পূরণ করে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আবেদন করা যাবে।
দেশের ৪৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০টি। আর ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আরও ৬ হাজার ৩৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
অন্যবছর ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। সেই ফলাফল প্রকাশের পর মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। সাধারণত অক্টোবরের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু এবার মহামারীর কারণে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের এইচএসসির মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয়েছে গত ৩০ জানুয়ারি। তাতে পাস করেছে পৌঁনে ৪ লাখ শিক্ষার্থীর সবাই।
তবে মেডিকেলে এবার শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে আগের নিয়মেই। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএর ভিত্তিতে আরও ১০০ নম্বর- অর্থাৎ মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে জাতীয় মেধাভিত্তিক তালিকা করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে মেডিকেল কলেজগুলোতে।
২০১৭ বা ২০১৮ সালে এসএসসি কিংবা ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারীদের এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে মোট জিপিএ থাকতে হবে অন্তত ৯.০০। আদিবাসী ও পার্বত্য কোটায় মোট জিপিএ ৮.০০ হলেও চলবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ এর কম হলে চলবে না।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই হবে। এই পরীক্ষা আর পেছানোর সম্ভাবনা নেই।
“করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। মূল্যায়নের ফলাফলের জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম। ফলাফল হয়ে গেছে, এখন আমরা পরীক্ষা নিয়ে নেব। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পরীক্ষা সময়মতই হবে।”