প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ
সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান।
বৈঠক
শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে হাই কোর্ট থেকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট থেকে ১৯৭৮ এবং ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে অধ্যাদেশগুলো
করা হয়েছিল, সেগুলো বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইন করতে হবে। আর যেগুলোর প্রয়োজন নেই সেগুলো
বাদ দিতে হবে।
“এগুলোর
কয়েকশ আইন ছিল সেগুলো সব হয়ে গেছে, এখন ৫৯টি আইন বাকি আছে। প্রত্যেক মন্ত্রণালয় অনুযায়ী
আজকে লিস্ট করে দিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং কেবিনেট থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে আগামী জুন
মাসের মধ্যে অবশ্যই এগুলো আইনে পরিণত করবে, এজন্য কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।”
মন্ত্রিপরিষদ
সচিব বলেন, “অনেক নতুন সচিব আসছেন, তারা হয়ত জানেন না। তাদেরকে নিয়ে আমরা আগামী ২০
ফেব্রুয়ারি বসে গাইডলাইন দিয়ে দেব। যাতে আগামী জুন মাসের মধ্যে এগুলো সংসদে পাঠানোর
মাধ্যমে কার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
আইনি কাঠামো পাচ্ছে ডিজিটাল লেনদেনের রেকর্ড
ডিজিটাল
লেনদেনের নথি ও দলিল অন্তর্ভুক্ত করতে ‘ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি আইন, ২০২১’ এর খসড়ার চূড়ান্ত
অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আনোয়ারুল
জানান, ১৯৯১ সালের এ সংক্রান্ত একটি আইন ছিল। পরে নতুন করে আইন করতে খসড়া নিয়ে আসা
হয়। ব্যাংকের যেসব বই যেমন- লেজার বুক, ক্যাশ বুক এগুলোকে সাক্ষ্য বই বলা হয়।
নতুন
আইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যে সব রেকর্ড হবে সেগুলোও ‘সাক্ষ্য বহি’ হিসেবে আইনে বিবেচিত
হবে। ব্যাংকগুলোর লেজার বুক, ক্যাশ বুক, লোন ডেসপাস বুক যা আছে- সবই এর অন্তর্ভুক্ত
হবে।
বাংলাদেশ-মরক্কো চুক্তিতে অনুসমর্থন
বাংলাদেশ
ও মরক্কোর মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বৈত করারোপণ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ সংক্রান্ত চুক্তির
খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ
সচিব বলেন, দ্বৈত করারোপ পরিহারে বিষয়টি নিয়ে আসা হয়েছে এজন্য যে দুই জায়গায় ট্যাক্স
দিতে হত। চুক্তির ফলে দুই জায়গায় বা দুই দেশে ট্যাক্স দিতে হবে না।
ব্যবসার
মুনাফা, বিমান ও জাহাজে পণ্য পরিবহন, লভ্যাংশ, রয়েলটি, মুলধনী মুনাফা, তথ্য বিনিময়,
দ্বৈত করারোপ পরিহার- এসব বিষয় এই চুক্তির মধ্যে ছিল বলে জানান তিনি।