অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিম সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
নজরুল ইসলাম পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের পাপদা গ্রামের বাসিন্দা।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুরী জানান, রায় ঘোষণার সময় নজরুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিচারক।
মামলার বিবরণে বলা হয়, পাপদা গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রহিমা খাতুনের সঙ্গে (১৮) নজরুল ইসলামের সম্পর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে রহিমা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। পরে সালিশের মাধ্যমে ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর নজরুলের সঙ্গে রহিমার বিয়ে দেওয়া হয়।
বিয়ের তিনদিন পর রহিমা একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
এরপর ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি রহিমা নিখোঁজ হন এবং এর সাতদিন পর জাঙ্গিয়াদী এলাকার বিলভরা বিলের পানিতে সন্তনসহ রহিমা খাতুনের লাশ ভেসে ওঠে।
এ ঘটনার পরদিন ২২ জানুয়ারি রহিমা খাতুনের বড় ভাই আব্দুল আওয়াল বাদী হয়ে নজরুলসহ তার পরিবারের চারজনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি নজরুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং তিনি আদালতে জবানবন্দিও দেন।
মামলার তদন্ত শেষে পাকুন্দিয়া থানার এসআই শাহাব উদ্দিন ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি নজরুলকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু করে আদালত।