মাস্ক ছাড়া কাউকে শহীদ
মিনার চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ হতে
সর্বোচ্চ ৫ জন ও ব্যক্তি পর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ জন শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারবেন।
রাষ্ট্রপ্রধান ও
সরকারপ্রধানসহ সবাই পূর্বের ঐতিহ্য বজায় রেখে যাতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
করতে পারেন সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবস ২০২১ উদ্যাপন উপলক্ষে গত ১৮ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে সংস্কৃতি বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে দিবসের কর্মসূচি বিষয়ক এক
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
দিবসটি পালন উপলক্ষে জাতীয়
অনুষ্ঠানের সাথে সঙ্গতি রেখে বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সকল
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে
অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা
পাঠ ও কোরআনখানির আয়োজনসহ দেশের সকল উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাতের জন্য
প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা এবং দিবসটি পালনে নিয়োজিত সকল প্রতিষ্ঠান ও সংলগ্ন
এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকার
আশপাশে ধুলোবালি রোধকল্পে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হবে এবং রাস্তাঘাট
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ
করবে।
জরুরি চিকিৎসা সেবা
নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শহদী মিনার এলাকায় চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন ও পর্যাপ্ত সংখ্যক
অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হবে।
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট
সোসাইটি ঢাকাসহ সারাদেশে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ‘ডিসইনফেকশন
(জীবাণুমুক্তকরণ)’ কার্যক্রম এবং ‘ফার্স্ট এইড বুথ’ স্থাপন করবে।