ক্যাটাগরি

খুলনায় অপহৃত আইনজীবী অভয়নগরে উদ্ধার, আটক ৩

যশোর পিবিআই পুলিশ সুপার
রেশমা শারমিন জানান, মঙ্গলবার সকালে অভয়নগর উপজেলার একতারপুর গ্রামে পুলিশ ব্যুরো অব
ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই ও অভয়নগর থানা পুলিশ এই অভিযান চালায়।

উদ্ধার হওয়া সুপ্রিম কোর্টের
আইনজীবী আবু হেনা মোস্তাফা কামাল মিলন (৩৫) সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের
এম এ হাকিমের ছেলে।

আটকরা হলেন সাতক্ষীরার
সুলতানপুর বড়বাজার এলাকার প্রয়াত আজমল হকের মেয়ে সুরাইয়া (২০), খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার
ফরমায়েসখানা গ্রামের মোড়লপাড়ার জমির সরদারের ছেলে আব্দুস সালাম (২৪) ও একই গ্রামের
আলাউদ্দিন শিকদারের ছেলে শাহিল শিকদার (১৮)।

যশোরের অভয়নগর থানার ওসি
তাজুল ইসলাম জানান, আবু হেনা মোস্তাফা কামাল মিলনের সঙ্গে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার
প্রতাবনগর গ্রামের এস এম হারুনুর রশিদের মেয়ে রাবেয়া সুলতানা রিতুর বিয়ে ঠিক হয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মিলন খুলনা পাইওনিয়ার কলেজের সামনে রিতুর সঙ্গে দেখা করেন।
পরে তারা জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পার্কে ঘুরতে যান। এই সময় রিতুর বান্ধবী সুরাইয়ার
সঙ্গে তাদের দেখা হয়।

যশোরের অভয়নগর উপজেলার একতারপুর গ্রামের এই বাড়ি থেকে মিলনকে উদ্ধার করা হয়েছে

যশোরের অভয়নগর উপজেলার একতারপুর গ্রামের এই বাড়ি থেকে মিলনকে উদ্ধার করা হয়েছে

আটকদের দেওয়া তথ্যের বরাতে
ওসি বলেন, সুরাইয়া কৌশলে মিলনকে অপহরণ করে যশোরের অভয়নগর উপজেলার একতারপুর গ্রামে প্রয়াত
ইসহাক তরফদারের মেয়ের বাড়ি নিয়ে আসেন এবং সেখানে মিলনকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন
শুরু করেন।

“এরপর মুক্তিপণ হিসেবে
মিলনের পরিবারের কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন যা না দিলে মিলনকে মেরে ফেলার হুমকি
দেন।”

এই ঘটনায় মিলনের ভগ্নিপতি
শরিফুল ইসলাম গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার তালা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন
বলে ওসি তাজুল জানান।

ওসি আরও জানান, মিলনের
পরিবার জানতে পারে অপহরণকারীদের অবস্থান যশোরে। তখন তারা জিডির কপি নিয়ে যশোরে পিবিআইয়ের
সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মঙ্গলবার সকালে পিবিআই অভয়নগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় একতারপুর
গ্রাম থেকে মিলনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।

“এই সময় অপহরণকারীদলের
নারী সদস্য সুরাইয়াকে আটক করা হয় এবং পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অপর দুই যুবককে
দুপুরে খুলনা থেকে আটক করা হয়।”

যে বাড়ি থেকে উদ্ধার ও
অপহরণকারীদের আটক করা হয় তার মালিক রাবেয়া সুলতানা মনি বলেন, “প্রায় একমাস আগে সুরাইয়া
ও আব্দুস সালাম স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে আমার বাড়ি ভাড়া নেন।”

যশোর পিবিআই পুলিশ সুপার
রেশমা শারমিন আরও জানান, এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আটক তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ
করা হচ্ছে। এই অপহরণ ঘটনার নেপথ্যে আরও কেউ জড়িত কিনা সে বিষয়েও অনুসন্ধার করা হবে।