ক্যাটাগরি

দ. আফ্রিকার বিব্রতকর পথচলা, পাকিস্তানি পেসারদের দাপট

২০০৩- পাকিস্তান এর আগে সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেস্ট সিরিজে হারিয়েছিল ২০০৩ সালে। দুই টেস্টের সিরিজটি তারা জিতেছিল ১-০ ব্যবধানে। এরপর থেকে এবারের সিরিজের আগ পর্যন্ত দুই দল খেলে ছয়টি সিরিজ। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় চারটি, ড্র দুটি। ওই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের জয় মাত্র দুটি ম্যাচে, হার ১০টি। যেকোনো দলের বিপক্ষে যা তাদের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স।

৯- এশিয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার টানা টেস্ট হারের সংখ্যা। এই ২-০ এ সিরিজ হারের আগে ২০১৫-১৬ মৌসুমে ভারতে তারা হেরেছিল দুটি টেস্ট। এরপর ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি এবং পরের বছর ভারত সফরে তিনটি টেস্ট হেরেছিল তারা।

এখানে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে বেশি টানা টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরেছিল ১৮টি, লাল বলের ক্রিকেটে তখন তারা ছিল নবীন দল। আর ক্যারিবিয়ানরা টানা ১০ টেস্ট হেরেছিল ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে।

০- দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরপর দুই টেস্ট এই প্রথম হারাল পাকিস্তান। করাচিতে তারা প্রথম টেস্ট জেতে ৭ উইকেটে, রাওয়ালপিন্ডিতে ৯৫ রানে।

২- গত ১৪ বছরের মধ্যে টেস্ট ম্যাচে পাকিস্তানি পেসারের ১০ উইকেট নেওয়ার ঘটনা দুটি। এবারের রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে হাসান আলি ১১৪ রানে নিয়েছেন ১০ উইকেট। ১১ টেস্টের ক্যারিয়ারে এই পেসারের যা প্রথম। আর ২০১৮ সালে আবু ধাবিতে মোহাম্মদ আব্বাস অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৫ রানে নিয়েছিলেন ১০টি।

৯- দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানি পেসারদের উইকেট সংখ্যা। যেখানে হাসান আলির উইকেট ৫টি, শাহিন শাহ আফ্রিদির ৪টি। পঞ্চমবারের মতো এশিয়ায় কোনো টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৯ বা এর বেশি উইকেট নিলেন পাকিস্তানি পেসাররা। সবশেষ এমনটা ঘটেছিল ২০০২ সালের জানুয়ারিতে।

৩৩- রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। গত ২৬ বছরে এর চেয়ে কম রানে শেষ ৭ উইকেট হারানোর ঘটনা দক্ষিণ আফ্রিকার আছে দুইবার; ২০১১ সালে কেপ টাউনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৩ রানে, ২০১৫ সালে দিল্লিতে ভারতের বিপক্ষে ৩২ রানে।