কুঁচকির চোট কাটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে মাঠে নেমেছিলেন সাকিব। দ্বিতীয় দিন বিকেলে নিজের বোলিংয়ে ফিল্ডিংয়ের সময় পায়ে টান লাগে তার। তৃতীয় দিন থেকে আর মাঠে নামেননি তিনি। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ৬৮ রান করা বাঁহাতি এই স্পিনিং অলরাউন্ডার বোলিং করতে পারেন কেবল ৬ ওভার।
দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংয়ে সাকিবের অভাব যথেষ্টই অনুভব করেছে বাংলাদেশ। ৩৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ দিনে কাইল মেয়ার্সের অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরিতে অবিশ্বাস্য এক জয় পায় অভিজ্ঞ অনেক ক্রিকেটারকে ছাড়া খেলতে আসা ক্যারিবিয়ানরা।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ সফরে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেবার স্বাগতিকদের চার স্পিনার সাকিব, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান মিলে নিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের ৪০ উইকেট। দ্বিতীয় টেস্টে সাকিব না থাকায় বাংলাদেশের জন্য কাজটা হবে অনেক কঠিন। সোমবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বললেন, সাকিবের মতো না হলেও তার বিকল্প খুঁজে নেবে বাংলাদেশ।
“এটা (সাকিবের না থাকা) আমাদের সুবিধা দেবে না। এটা ঠিক, বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন সে। তবে তাদের অনেক স্পিনার এবং ব্যাটার আছে, যারা এখানে স্পিন বোলিং করতে পারে। সাকিবের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনের মতো এমন কাউকে তারা খুঁজে নেবে।”
“সাকিবের মতো ভালো হয়তো হবে না, তবে টেস্টের জন্য যথেষ্টই ভালো হবে। তার অনুপস্থিতিতে আমাদের কাজ সহজ হয়ে যাবে, তেমনটা আমরা ভাবতে পারি না। এই ম্যাচ আমাদের জন্য সহজ হবে না।”
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।