৪- ২০১১ সাল থেকে ভারতের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্ট জয়ের ঘটনা
এটি। এর মধ্যে ভারতকে তিনবারই হারিয়েছে ইংল্যান্ড। চেন্নাই টেস্টের আগে ২০১২-১৩ মৌসুমের
সিরিজে দুই টেস্ট জিতেছিল ইংলিশরা। আর ২০১৬-১৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল পুনেতে।
ঘরের মাঠে শেষ ১৪ টেস্ট (১১ জয়) অপরাজিত থেকে চেন্নাইয়ে খেলতে নেমেছিল ভারত।
৬- এশিয়ায় ইংল্যান্ডের এটি টানা ষষ্ঠ টেস্ট জয়। ২০১৮-১৯ মৌসুমে শ্রীলঙ্কায় ৩-০
তে জয়ের পর গত মাসে আবারও তাদের বিপক্ষে ২-০ তে সিরিজ জেতে ইংলিশরা। এশিয়ায় সফরকারী
দল হিসেবে টানা এর চেয়ে বেশি টেস্ট জয় আছে অস্ট্রেলিয়ার। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে
তারা জিতেছিল ৭টি ম্যাচ।
২–
এশিয়ায় সফরকারী অধিনায়ক হিসেবে জো রুটের ৬ টেস্ট জয়ের চেয়ে বেশি আছে আর দুই জনের। গ্রায়েম
স্মিথের নেতৃত্বে এখানে ২১ টেস্টের ৮টি জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্লাইভ
লয়েডের নেতৃত্বে এশিয়ায় ১৭ টেস্টের মধ্যে জিতেছিল ৭টি।
২৬- ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে ৪৭ টেস্টে এটি রুটের ২৬তম জয়। ৫১ টেস্টে ২৬ জয়
পাওয়া সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনের সঙ্গে যৌথভাবে আছেন শীর্ষে। দেশের বাইরে ইংলিশ অধিনায়কদের
মধ্যে সবচেয়ে বেশি জয় এখন রুটের। ১০ জয়ে তিনি টপকে গেছেন ভনের ৯ জয়। দেশের বাইরে দুইজনেই
২২টি করে টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে।
৮১- চেন্নাইয়ে ম্যাচজয়ী ১৭ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার মধ্য দিয়ে জেমস অ্যান্ডারসন ছাড়িয়ে
গেছেন চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে স্টুয়ার্ট ব্রডের ৭৯ উইকেট, বসেছেন শীর্ষে।
২২৭- ভারতের বিপক্ষে ২২৭ রানে জিতেছে ইংল্যান্ড, যা দেশটিতে রানের হিসেবে তাদের
সবচেয়ে বড় জয়। সব মিলিয়ে রানের দিক থেকে ভারতের বিপক্ষে এটি চতুর্থ বড় জয় ইংল্যান্ডের;
২০১১ সালে নটিংহ্যামে ৩১৯ রানে, সাউথ্যাম্পটনে ২০১৪ সালে ২৬৬ রানে ও ১৯৯০ সালে ২৪৭
রানে জিতেছিল তারা।
১- রবিচন্দ্রন অশ্বিন ভারতে ৫ উইকেট নিয়েছেন ২২ বার, এর মধ্যে প্রথম হারল দল।
২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মুম্বাই টেস্ট ড্র ছাড়া বাকি ২০ বারই জিতেছে ভারত।
১১- ২০১০ সালের জানুয়ারির পর থেকে এশিয়ায় ১১ টেস্ট জিতেছে ইংল্যান্ড, এই সময়ে এখানে
তাদের হার ১২টিতে। জয়-পরাজয়ের অনুপাত এশিয়ার বাইরের দল গুলোর মধ্যে তাদেরই সবচেয়ে ভালো।
এই সময়ে হেরে যাওয়া টেস্ট ম্যাচের অর্ধেকের বেশি জিততে পারেনি আর কোনো দল। নিউ জিল্যান্ড
ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়-পরাজয়ের হার ০.৫। এই সময়ে অস্ট্রেলিয়া ১৫ হারের বিপরীতে জিতেছে
কেবল ৩টি টেস্ট।
৩৪৩- বয়স ৩০ পেরুনোর পর থেকে জেমস অ্যান্ডারসনের উইকেট সংখ্যা, পেসারদের মধ্যে
যা সর্বোচ্চ। চেন্নাইয়ে শেষ দিনে ইংলিশ পেসার টপকে গেছেন কোর্টনি ওয়ালশের ৩৪১ উইকেট।
স্পিনার-পেসার মিলিয়ে, ৩০-এর পর এর চেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন তিন জন; রঙ্গনা হেরাথ ৩৯৮,
মুত্তিয়া মুরালিধরন ৩৮৮, শেন ওয়ার্ন ৩৮৬। অনিল কুম্বলেরও আছে অ্যান্ডারসনের সমান ৩৪৩
উইকেট।
১- ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে হারার আগে ঘরের মাঠে ৩৫ টেস্টের কেবল একটিতে
হেরেছিল ভারত। ২০১৩ সাল থেকে ঘরের মাঠে তাদের জয় ২৮ টেস্টে। এই আট বছরে দেশের মাটিতে
সবচেয়ে বেশি আধিপত্য দেখানো দল ভারত।
৩- টানা তিন টেস্টে ম্যাচ সেরা হলেন রুট। শ্রীলঙ্কায় দুই টেস্টেও জিতেছিলেন এই
পুরস্কার। টানা তিন বা এর বেশি টেস্টে ম্যাচ সেরা হওয়ার ঘটনা আছে ৭টি; মুরালিধরন দুইবার,
একবার করে ইয়ান বোথাম, ওয়াসিম আকরাম, জ্যাক ক্যালিস, মাইকেল হাসি ও স্টিভ হার্মিসনের।
৪- ভারতে অ্যান্ডারসনের টেস্ট জয়ের সংখ্যা। ২০০০ সাল থেকে দেশটিতে আর কেবল দুইজন
সফরকারী ক্রিকেটার সমসংখ্যক ম্যাচ জিততে পেরেছেন; মার্ক বাউচার ও জ্যাক ক্যালিস।
১৯৯৯- চেন্নাইয়ে শেষবার ভারত হেরেছিল ১৯৯৯ সালে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২ রানে। তারপর
থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই হারের আগে এখানে ৮ টেস্টের পাঁচটিই জিতেছিল ভারত।