ক্যাটাগরি

বগুড়ায় মোটর মালিক গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশ-সাংবাদিক আহত

এই সময় একজন পুলিশ ও একজন সাংবাদিক আহত হন বলে সদর থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চারমাথা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর ১২টার দিকে মোটর মালিক গ্রুপের একটি অংশ চারমাথায় অবস্থিত গ্রুপের কার্যালয়টি দখল করতে যায়। এই সময় আরেকটি গ্রুপের সদস্যরা বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এই সময় তিনটি বাস ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, পাঁচটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া চারমাথা পেট্রোল পাম্প, নাভানা সিএনজি ফিলিং স্টেশন, শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের কার্য্যালয় ভাংচুর হয়।

রাজশাহী বিভাগীয মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক আহব্বায়ক মুঞ্জুরুল আলম মোহনের নেতৃত্ব আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রধারী কয়েকশ লোক মোটর মালিক গ্রুপের অফিস দখল করতে আসে। তারা বাস, শাহ ফতেহ আলী কোচ অফিস ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে।

বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মুঞ্জুরুল আলম মোহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের কথা অস্বীকার করেছেন এবং ওই ঘটনার জন্য আমিনুল ইসলামকেই দায়ী করেন।

তবে তিনি লোকজন নিয়ে মোটর মালিক গ্রুপের অফিসে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন বলেন, “একজন মালিক হিসেবে সেখানে গিয়েছিলাম। পুলিশের অনুরোধে আবার চলে এসেছি।”

সদর থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান, ঘটনার সময় রমজান নামের এক পুলিশ সদস্য ছুরিকাহত হয়েছেন। এছাড়া রাজু আহাম্মেদ নামের এক গণমাধ্যমকর্মী আহত হন। তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আট জনকে আটক করা হয়েছে।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সল মাহমুদ জানান, “মোটর মালিক গ্রুপের অফিস দখল নিয়ে ঘটনাটি ঘটে।”

এদিকে, ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিকালে চারমাথার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বগুড়া জেলা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক যৌথ কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে।

সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মান্নান আকন্দ এই ঘটনার জন্য মুঞ্জুরুল আলম মোহনকে দায়ী করেছেন।

তিনি বলেন, মুঞ্জুরুল আলম মোহন এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদি আজ [মঙ্গলবার] রাতের মধ্যে মোহনকে গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে কাল বুধবার সকাল থেকে বগুড়ায় বাস, ট্রাক, কোচ, পিকআপ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ থাকবে। তারপরেও গ্রেপ্তার না হলে উত্তরাঞ্চলে ধর্মঘট ডাকা হবে।