৩৯৫ রানের লক্ষ্যে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কাইল মেয়ার্সকে নিয়ে দলের হাল শক্ত হাতে ধরেন বনার। শেষ দিনের প্রথম দুই সেশন এই দুই জন কাটিয়ে দেন দারুণ দক্ষতায়।
বনার অবশ্য কাজ শেষ করে ফিরতে পারেননি। তবে তার ২৪৫ বলে ৮৬ রানের ইনিংস ও মেয়ার্সের সঙ্গে রেকর্ড ২১৬ রানের জুটিই ক্যারিবিয়ানদের গড়ে দিয়েছিল জয়ের ভিত।
বনার মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানান, কঠিন পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানো পুজারাকে দেখেই শিখেছেন তিনি।
“সে (পুজারা) যেভাবে ব্যাটিং করে এটা দেখতে ভালো লাগে আমার। আমার মনে হয়, সে মানসিকভাবে বেশ দৃঢ় এবং আমি এটা তাকে দেখে শিখেছি। তাকে কখনও কিছুই সমস্যায় ফেলতে পারে না। সে আমার আদর্শ।”
বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে বনার ছিলেন লেগ স্পিনার, ব্যাটিং করতেন শেষের দিকে। ২০০৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ।
২০১১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। কিন্তু জায়গা ধরে রাখতে পারেননি দলে। এরপর আবার খেলার সুযোগ আসে ২০১২ সালে। ওই ম্যাচের পর দীর্ঘদিন ছিলেন জাতীয় দলের বাইরে।
এরপর ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরা শুরু করেন বনার। নজর কাড়া পারফরম্যান্সে গত বছর ইংল্যান্ড সফরে যান রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে। এরপর দলের সঙ্গে ছিলেন নিউ জিল্যান্ড সফরেও। কিন্তু খেলার সুযোগ আসেনি।
বাংলাদেশ সফরে দলের শীর্ষ ক্রিকেটাররা এলে হয়তো এবারও তার দরজা খুলত না। অপ্রত্যাশিত সুযোগ পেয়ে লুফে নিয়েছেন দুই হাতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক জয়ে বড় অবদান রাখা এই অলরাউন্ডার জানান, তার ক্রিকেটের পথচলা কখনোই সহজ ছিল না।
“আমার পথচলা ছিল অমসৃণ তবে উপভোগ্য। অনেক উত্থান-পতন ছিল। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আমি খুবই আশাবাদী ছিলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলার জন্য। আমি একা থাকতাম। আমার মেন্টরের সঙ্গে দেখা করা ছিল আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার। এরপর আমার চিন্তাধারা, ওয়ার্ক এথিক, কৌশল ও অনুশীলন পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। এখন আমি উপভোগ করছি।”