ক্যাটাগরি

মিরাজের ভাবনায় মিডল অর্ডার

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলে মিডল অর্ডারে জায়গা
পাওয়া বেশ কঠিন। তীব্র
এই লড়াই মেনে
নিয়েই ভবিষ্যতের ছক কষছেন ২৩ বছর বয়সী মিরাজ।  

“আমি বয়সভিত্তিক ক্রিকেট যত দিনই খেলেছি, মিডল
অর্ডারে ব্যাটিং করেছি। কিন্তু এখন তো কোনো
উপায় নেই উপরে
ব্যাট করার। কারণ, মিডল
অর্ডারে আমাদের পরিপূর্ণ ক্রিকেটার আছে। তবে আমি মনে করি, ৪-৫ বছর পরে আমার সুযোগ আসতেও
পারে, সেই সময় নিজেকে মানসিকভাবে দৃঢ় রেখে উপরে ব্যাটিং করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।”

“আমি মনে করি,
এর জন্য আমাকে
অনেক পরিশ্রম করতে
হবে, নিজের ব্যাটিংকে প্রতিনিয়ত ঝালাই করতে
হবে এবং প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজের
উন্নতি করতে হবে। আমার
কোন কোন জায়গায় ঘাটতি আছে, সেই জায়গাগুলোর উন্নতি করে হয়ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরও সফল হতে পারবো,
যদি উপরে ব্যাটিং করি।”

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে মিরাজের ১০৩ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে ৪৩০। পরের
ইনিংসে অবশ্য যেতে
পারেননি দুই অঙ্কে।

ভালো করেছেন বোলিংয়েও। দুই ইনিংসেই নিয়েছেন চারটি করে উইকেট। কিন্তু মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স আড়ালে পড়ে গেছে কাইল
মেয়ার্সের রেকর্ড ডাবল
সেঞ্চুরি আর ক্যারিবিয়ানদের ইতিহাস গড়া জয়ে।

মেয়ার্সের ছায়ায় পড়ে যাওয়ার আক্ষেপ নেই তরুণ
এই অলরাউন্ডারের। তবে দলের
হারে তিনি বেশ ব্যথিত।

“জিতলে ভালো হত, তবে দিনশেষে এটা ক্রিকেট খেলা, যে কোনো কিছুই হতে পারে। সবচেয়ে খারাপ
লাগছে যে, দল হেরে গেছে। কারণ আমরা
আশাও করিনি হেরে
যাব। দল জিতলে
হয়ত আমার পারফরম্যান্সটা আরও ফোকাস হতো বা খুব ভালো লাগত
নিজের কাছে। আমরা কিন্তু দলের জন্যই খেলি। হেরে
যাওয়াতে আমি যে রান করেছি বা উইকেট পেয়েছি, ওটার
মধ্যে মজাও পাইনি। আমরা
যদি ম্যাচটা জিততে
পারতাম, হয়ত আমার
ফিলিংসটা আরও বেশি
থাকতো, ভালো লাগাটা আরও বেশি থাকতো।”

দুই টেস্টের সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে থেকে বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা
স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ।