সোমবার দুপুরে ধানসাগর ফরেস্ট ক্যাম্পের পাশে এই ঘটনা ঘটে বলে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এনামুল হক জানান।
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিভে যায় বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসিএফ এনামুল হক বলেন, বেলা ২টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর ফরেস্ট ক্যাম্পের পাশে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পান বনকর্মীরা। এরপর তারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। আগুন যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য বনকর্মীরা প্রথমে ফায়ার লাইন [আগুনের অংশের মাটি আলাদা করা] কেটে দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট নিয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলে।
তিনি বলেন, আগুন ওই এলাকার প্রায় চার শতাংশ পরিমাণ জমিতে ছড়িয়েছিল। এখানে বনের কোনো মূল্যবান গাছপালা নেই। এখানে আগাছা, পরগাছা ও লতাগুল্ম জাতীয় গাছ রয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, বনের যে এলাকায় আগুন লেগেছে ওই এলাকার খালগুলো মরে গেছে। শীত মৌসুমে খালে পানি থাকে না যার কারণে লোকালয়ের মানুষ হেঁটে বনে ঢুকতে পারে।
“বনের ভেতরে আসা মানুষের ফেলে দেওয়া বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকে এই অগ্নিকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।”
বেলায়েত জানান, আগুনের কারণ ও পুড়ে যাওয়া অংশের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করতে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এনামুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন হাতে পেলে আগুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।