তিনি
টিকা নিলেও ছবি তুলতে দেননি। তিনি বলেছেন, এটা তিনি পছন্দ করছেন না।
সারাদেশে
গণ টিকাদান শুরুর তৃতীয় দিন মঙ্গলবার ঢাকার মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট
ও হাসপাতালে গিয়ে টিকার প্রথম ডোজ নেন অর্থমন্ত্রী।
তখন
একজন গণমাধ্যমকর্মী ছবি নিতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, “আমি টিকা নিয়েছি নিজের
সুবিধা ও সুস্থতার জন্য। আমি ছবি তোলার জন্য টিকা নিইনি। আমি এটা পছন্দ করি না।
“আমি
রেকর্ড রাখতে চাই না। কারণ হল, এটা খুব সুখকর খবর না। এই মহামারীতে অনেক মানুষের
জীবন আমরা হারিয়েছি। তাদের সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।”
গত
রোববার টিকাদান শুরুর পর থেকে সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রের
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা টিকা নেওয়ার পর সে ছবি সোশাল মিডিয়ায় দিচ্ছেন। তাদের যুক্তি,
মানুষকে টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করতেই তাদের এই পদক্ষেপ।
গণমাধ্যমকর্মীরা
এই যুক্তি দেখালে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এখন আপনাদের মাধ্যমে মানুষ জানতে পারবে। আমার
কাজ হচ্ছে সবাইকে কনভিন্সড করা। টিকা নেওয়া প্রয়োজন, এই বিষয়টা বোঝানো।
প্রয়োজনীয়তা যখন বুঝতে পারবে, সবাই টিকা নিতে আসবে।”
সম্ভব হলে সবার আগেই টিকা নেব: অর্থমন্ত্রী
৭৩ বছর বয়সী মুস্তফা কামাল আগেই জানিয়েছিলেন, টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলেই তিনি নিজের
সুরক্ষার জন্য সবার আগেই টিকা নিতে চান।
বুধবার
অনলাইনে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের
পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, তিনি টিকা নিয়ে নিয়েছেন।
“গতকালই
আমি টিকা নিলাম। শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে। টিকা নেওয়ার পর কোনো সাইড
ইফেক্ট হয়নি, কোনো কিছুই দেখিনি আমি।”
টিকার
অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “দেওয়ার সময় লক্ষ্য করেছি যে, যেন একটা গুতো খেলাম,
এই পর্যন্তই শেষ। আমি বুঝলাম যে, শরীরে কিছু ইনজেক্ট করা হচ্ছে।
“ছোটবেলায়
যখন স্কুলে পড়তাম, সেই সময় টিকা নিয়েছিলাম। সে সময় ব্যথা লাগত, জ্বর আসত কয়েক
ঘণ্টার জন্য। তবে এবার ব্যথাও হয় নাই, জ্বরও আসে নাই।”