ক্যাটাগরি

ইউরোপের সবচেয়ে বেশি বয়সী নারীর কোভিড জয়

বিবিসি জানায়, সিস্টার আন্দ্রে ইউরোপের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ। তার প্রকৃত নাম ছিল লুসি হঁনদোন। ১৯৪৪ সালে গির্জার সেবিকার জীবন বেছে নিলে তার নাম হয় সিস্টার আন্দ্রে।

নিজের কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘আমি এমনকি বুঝতেও পারিনি যে আমি এ রোগে আক্রান্ত।”

সিস্টার আন্দ্রে দক্ষিণ ফ্রান্সের তুলোঁ নগরীতে একটি ওল্ডহোমে থাকেন। কোভিড-১৯ ‘পজিটিভ’ হওয়ার পর তাকে হোমের অন্যান্য বাসিন্দাদের থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। তিনি এখন কোভিড ‘নেগিটিভ’ এবং সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে বিশ্বাস চিকিৎসকদের।

সিস্টার আন্দ্রে চোখে দেখতে পান না এবং হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন। বৃহস্পতিবার নিজের ১১৭তম জন্মদিন উদযাপনের অপেক্ষায় আছেন তিনি।

হোমের মুখপাত্র ডেভিড তাভেল্লা বলেন, ‘‘তিনি অত্যন্ত ভাগ্যবান।

আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি কখনও নিজের স্বাস্থ্যের ‍অবস্থা সম্পর্কে আমার কাছে কিছু জানতে চাননি। বরং অভ্যাস অনুযায়ী তিনি জানতে চেয়েছেন, তার খাবার বা ঘুমানোর সময়ে কোনও পরিবর্তন আনা হবে কিনা।

‘‘তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়া নিয়ে একদমই ভয় পাননি। একই সঙ্গে তিনি হোমের অন্যান্য বাসিন্দাদের নিয়ে সব সময় চিন্তা করেছেন।”

১৯০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন সিস্টার আন্দ্রে।  বিশ্বে দ্বিতীয় বয়স্ক জীবিত ব্যক্তিও তিনি।

ফ্রান্সের একটি টেলিভিশন থেকে সিস্টার আন্দ্রে কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি ভয় পেয়েছিলেন কিনা?

জবাবে তিনি বলেন, ‘‘না, আমি ভয় পাইনি। কারণ, আমি মরতে ভয় পাই না। আমি খুশি যে আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। কিন্তু আমি অন্য কোথাও থাকতে চাই…আমি আমার বড় ভাই, আমার দাদা ও আমার দাদীর সঙ্গে যোগ দিতে চাই।”