ক্যাটাগরি

উহানে তদন্ত শেষের পরও কোভিড নিয়ে ঝগড়ায় চীন-যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র তদন্ত দলের তথ্য খতিয়ে দেখতে চাইছে। ওদিকে চীন বলছে, করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানে এবার যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএইচও তদন্ত দলকে আমন্ত্রণ জানাক।

চীনের গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলে যে কথা উঠেছিল, তদন্তের প্রাথমিক ফলে তা কার্যত নাকচ করেছে বিশব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দল।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত দল জানায়, উহানের গবেষণাগার করোনাভাইরাসের উৎস নয়, বরং বাদুড় থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে থাকতে পারে।

এর কয়েকঘন্টা পরই ওয়াশিংটন বলেছে, তারা তদন্তদলের তথ্য-উপাত্ত খতিয়ে দেখতে চায়।

ওদিকে, দৈনিক এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, “আমরা চাই যুক্তরাষ্ট্রও চীনের মতো খোলা এবং স্বচ্ছ মনোভাব নিয়ে ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞদেরকে তাদের দেশে করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজতে তদন্তের জন্য আমন্ত্রণ জানাক।”

চীন সম্প্রতি বারবারই যুক্তরাষ্ট্রেও এই ভাইরাসের উৎস সন্ধানের দাবি জানাচ্ছে। চীনের হুবেই প্রদেশের শহর উহানে ২০১৯ সালের শেষ দিকে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলেও পরে বিষয়টির তুমুল রাজনীতিকরণ হয়েছে। চীন এই ভাইরাস তাদের সীমান্তের বাইরের কোনও দেশ থেকে এসেছে বলে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি মঙ্গলবার বলেছেন, ডব্লিউএইচও’র তদন্ত নিয়ে পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নে বাইডেন প্রশাসনের কোনও মাথাব্যাথা নেই। তবে তদন্তদল যা পেয়েছে সেইসব মৌলিক তথ্য স্বাধীনভাবে পর্যালোচনা করে দেখতে চায় প্রশাসন।

অন্যদিকে, চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পিপলস ডেইলি পরিচালিত ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমসের প্রধান সম্পাদক প্রশ্ন তুলে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনভাবে ডব্লিউএইচও’র তথ্য খতিয়ে দেখবে? বরং ডব্লিউএইচও’রই যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য খতিয়ে দেখা উচিত। আমরা কি সব ভুল শুনছি? নাকি ওই মুখপাত্রই আসলে নির্লজ্জ?”

করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজতে চীনে যাওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্ত দলের প্রধান পিটার বেন এমবেরেক মঙ্গলবার বলেছেন, উহান শহরের ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়ানোর ‘সম্ভাবনা নেই বললেই চলে’।

তাহলে করোনাভাইরাসের উৎস কোথায়? বছরজুড়ে আলোচনায় থাকা সেই প্রশ্নের সুরাহা এই বিশেষজ্ঞরাও করতে পারেননি। ভাইরাসের উৎস খুঁজে বের করতে আরও কাজ করতে হবে, উহানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চীনের যৌথ তদন্তের সমাপ্তিতে একথাই বলেছেন এমবেরেক।