ভুল চিকিৎসায় শিশুমৃত্যুর অভিযোগ তুলে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের লাঞ্ছিত করা হয় বলে তাদের অভিযোগ।
সদর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, “মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে হাসিবুর রহমান নামে এক শিশুর মৃত্যু হলে এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।”
হাসিবুর সদর উপজেলার গিদারি গ্রামের বকুল মিয়া ছেলে। স্থানীয় আমানউল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।
বকুল মিয়ার অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসিবুর অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ৯টার দিকে তাকে ইনজেকশন দেওয়া হলে নাক-মুখ দিয়ে ফেনা ও রক্ত বের হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে তার মৃত্যু হয়।
সে সময় রোগীর স্বজনরা ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ তুলে এক চিকিৎসক ও দুই নার্সকে লাঞ্চিত করে বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে চিকিৎসক ও নার্সরা বুধবার সকাল থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করছেন।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তারা কর্মস্থলে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন।
ওসি মাহফুজুর বলেন, খবর পয়ে পুলিশ গিয়ে রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মেহেদী ইকবাল বলেন, “যদি ভুল চিকিৎসায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয় তাহলে আমাকে অভিযোগ দিতে পারত কিংবা আইনের আশ্রয় নিতে পারত। তারা তা না করে চিকিৎসক ও নার্সের ওপর হামলা চালায় এবং লাঞ্ছিত করে। এটা বেআইনি।”
এ ঘটনায় তারা থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, চিকিৎসক ও নার্সদের অনুরোধ করার পরও তারা বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখেছেন। তবে অন্যান্য বিভাগে চিকিৎসাসেবা চলছে।