সংবিধান লঙ্ঘন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের
দেশত্যাগে সহায়তা এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের কারণে জিয়ার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত
মঙ্গলবার নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায়
এবিষয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, “আমি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই।
“যারা মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদেরকে
হত্যা করেছে, অপরাধীদের যারা পুনর্বাসিত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের এই
পদক্ষেপ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। অবশ্যই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ১৬ কোটি মানুষ
এটাকে সমর্থন করবে।”
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে জিয়াউর
রহমানরা সে ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্যে দেশ পরিচালনা করেছিল, যেন বঙ্গবন্ধুর কথা কখনও
উচ্চারিত না হয়। সেজন্য জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে পুরস্কৃত করেছিল। একাত্তরের
অপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করেছিল।
“একই ধারায় এরশাদ-খালেদা জিয়াও চলেছে। বঙ্গবন্ধুকে
তারা মুছে ফেলতে পারে নাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারে নাই। আজকের বাংলাদেশ
সেটাই প্রমাণ করে।”
আল জাজিরায় সম্প্রতি প্রচারিত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এই যে আল জাজিরা একটি বানোয়াট কাহিনী বানিয়ে ছেড়ে দিল, তাদের উদ্দেশ্য
হল, আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর ও জাতির পিতার শতবর্ষ আমাদের গর্বের জায়গা, যেখানে আমরা
দাঁড়িয়েছি সেটা প্রশ্নবিদ্ধ করা।
“পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যারা রাজনৈতিক, সামাজিক
ও অর্থনৈতিকভাবে বেনিফিসিয়ারি, তারা এটাতে মদত দিচ্ছে। একটাই কারণ, বাংলাদেশ যাতে এগিয়ে
যেতে না পারে।”
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তারা আজকে
আল জাজিরার সমর্থন করছে। আল জাজিরা কারা, যারা লাদেনের মতো একজন সন্ত্রাসীর সাক্ষাৎকার
ছাপিয়ে বাণিজ্য করেছে। আলজাজিরার সঙ্গে সন্ত্রাসী লাদেনের সম্পর্ক আছে। আল জাজিরার
সঙ্গে একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলাকারী, জঙ্গি শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলাভাইদের সম্পর্ক
থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আল জাজিরার সঙ্গে বিদেশে পলাতক দণ্ডিত তারেক রহমান এবং দুর্নীতির
দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার সম্পর্ক থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।
“এতে বাংলাদেশের মানুষ বিচলিত নয়। বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাও বিচলিত নয়। আমরা অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এখানে
এসেছি।”