বুধবার সাতক্ষীরার
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. শরিফুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতদের মধ্যে
আট জনকে ১০ বছর করে এবং চার জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জজ
আদালতের পিপি আব্দুল লতিফ মামলার বরাত দিয়ে জানান, ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে সাতক্ষীরার
কলারোয়ার নাইম ওরফে আব্দুন নাইম, সদরের ফখরদ্দিন রাজী, মনিরুজ্জামান ওরফে মুন্না, গিয়াসউদ্দিন
সরদার, জামালপুরের বেলাল হোসেন ওরফে আব্দুল্লাহ, ইসমাইল ওরফে মো. হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরার
আশাশুনির মাহাবুবুর রহমান ওরফে লিটন ওরফে পলাশ ওরফে সানা ও নুর আলী মেম্বার।
অন্যান্য মেয়াদের
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সদরের ইটাগাছার মনোয়ার হোসেন ওরফে উজ্জ্বল, খড়িবিলার মন্তাজ ওরফে
মমতাফ ওরফে মন্তাজ আলী, মো. আসাদুল ও ইটাগাছার আনিসুর রহমান খোকন।
পিপি লতিফ আরও
জানান, অভিযোগ থেকে দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন যশোরের কেশবপুরের মো. সাইফ
ওরফে আসাদুজ্জামান ওরফে হাজারী ও সাতক্ষীরা সদরের সাতানী এলাকার আবুল খায়ের।
দণ্ডিতদের মধ্যে
আব্দুন নাইম ও মনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল পলাতক রয়েছেন বলেও লতিফ জানান।
২০০৫ সালের
১৭ অগাস্ট দেশের ৬৩টি জেলায় একসঙ্গে বোমা হামলা চালায় জেএমবি। এর মধ্যে সাতক্ষীরা শহরের
শহীদ রাজ্জাক পার্ক, জেলা জজ আদালত চত্বর, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত চত্বর, বাস
টার্মিনাল ও খুলনা মোড়ে একযোগে বোমা হামলা হয় এবং লিফলেট ছড়ানো হয়।
এই ঘটনায় পুলিশ
বাদী হয়ে ২০০৫ সালে পাঁচটি মামলা করে।
পরে ২০০৭ সালে
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি গোলাম মোহাম্মদ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে
এই মামলা পরিচালনা করেন জজ আদালতের পিপি আব্দুল লতিফ। তাকে সহায়তা করেন অতিরিক্ত পিপি
আব্দুস সামাদ।
রায়ে তারা সন্তোষ
প্রকাশ করেছেন।
আসামিপক্ষে
ছিলেন অ্যাডভোকেট জিএম আবুবকর সিদ্দীক।