চতুর্থ ও
পঞ্চম ধাপের পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে
এ নির্দেশ দেন তিনি।
মাহবুব
তালুকদার বলেন, “একটি কথা স্পষ্টভাবে বলতে চাই। নির্বাচনী দায়িত্ব যারা পালন
করবেন, তাদের কাছ থেকে পক্ষপাতমূলক আচরণ কখনও আশা করি না।
“আমরা কোনো
ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের প্রতি অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে দায়িত্ব পালন করতে
আসিনি। সব প্রার্থী আমাদের কাছে এক এবং অভিন্ন।”
পৌরসভায়
শেষ দুই ধাপের ভোটে গোলযোগ-অনিয়ম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে মাঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে ধারাবাহিক
বৈঠক করছেন নির্বাচন কমিশনাররা।
ঢাকা ও
ময়মনসিংহ বিভাগের ২৯টি পৌরসভার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক
করেন মাহবুব তালুকদার।
গোলযোগ-সহিংসতায়
উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “নির্বাচনে সহিংসতা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্রমবর্ধমান
ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন।
“নির্বাচনের
দায়িত্বপালনে কারও কোনো শিথিলতা বরদাশত করা হবে না। এ বিষয়ে আমরা ‘শূন্য সহিষ্ণু
নীতি’ বা জিরো টলারেন্সে’ বিশ্বাসী।”
ইতোমধ্যে তিন
ধাপে পৌর নির্বাচন শেষ করেছে ইসি। এতে গড়ে ৬৫ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ২৩ শতাংশ।
ভোটারের
উপস্থিতি কম নিয়ে মাহবুব তালুকদার বলেন, “এটা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সঙ্কেত। এর
কারণগুলো বিশ্লেষণ করে তা প্রতিকারের প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন।”
সভায়
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিব অশোক
কুমার দেবনাথ ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-২ অধিশাখার যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খানও অংশ
নেন।
শেরপুর,
জামালপুর, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, টাঙ্গাইল,
শরিয়তপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ
সুপার এবং পৌরসভার রিটার্নিং অফিসারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন
সভায়।
পৌর ভোট
নিয়ে সোমবার রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চল; মঙ্গলবার চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলএবং খুলনা ও
বরিশাল অঞ্চল নিয়ে ইতোমধ্যে বৈঠক করেছেন অন্য নির্বাচন কমিশনাররা।
গত ৩০
জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের ভোট হয়। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপের এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি
পঞ্চম ধাপের ভোট রয়েছে।