ক্যাটাগরি

বিআইএফসির দুই সাবেক কর্মকর্তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।

জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আলমগীর হোসেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একেএম ফজলুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

ডিএজি আমিন উদ্দিন মানিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ দুই আসামির জামিন আবেদনে শুনানির পর আদালত তাদের জামিন না দিয়ে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দিয়েছেন।”

বিআইএফসির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

একটিতে বিআইএফসির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবদুল মান্নানসহ ১১ জনকে ও অন্য মামলায় মান্নানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিআইএফসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহমুদ মালি, বিআইএফসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুর রহমান ও সাবেক সহ সভাপতি সৈয়দ ফাখরি ফয়সল, সাবেক এভিপি অ্যান্ড ইউনিট হেড আহমেদ করিম চৌধুরী, সাবেক কর্মকর্তা (বিজনেস) মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, মো. সৈকত আজাদ ও মাসুদ-উল-রেজা চৌধুরী, সাবেক প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা তানিজা মাজেদ, সাবেক কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আফ্রিদা আহসান, ডি আফরোজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম জিলানী দিদার ও ক্লিক টু ডিজাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল বাশার।

এদের মধ্যে শেষের পাঁচ ব্যক্তি একটি মামলায় এবং অন্যরা দুই মামলাতেই আসামি।

বিআইএফসি থেকে বিপুল পরিমাণের ঋণ অনিয়মের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবদুল মান্নানের সম্পৃক্ততা পায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ কারণে ২০১৫ সালের শেষ দিকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুদক ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ চিঠি পেয়ে ২০১৬ সালে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। পরে অনিয়ম ও আত্মসাতের প্রমাণ মেলায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর  উপপরিচালক এস এম সাহিদুর রহমান ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট দুটি মামলা করেন।

একটি মামলায় ২৮ কোটি ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৪ টাকা, অন্যটিতে ১৪ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।