পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার দুপুরে দুবাইয়ের
একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
জয়নুল হক সিকদারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি
মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জয়নুল
হক সিকদারের গড়া সিকদার গ্রুপের ব্যবসা ছড়িয়ে আছে ব্যাংক ও বীমা, বিদ্যুৎ, ইকনোমিক
জোন, এভিয়েশন, আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মত নানা খাতে।
এর সহযোগী কোম্পানির মধ্যে রয়েছে পাওয়ার প্যাক পোর্টস, পাওয়ার
প্যাক ইকনোমিক জোন, সিকদার ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, পাওয়ার প্যাক হোল্ডিংস, সিকদার
রিয়েল এস্টেট ও মাল্টিপ্লেক্স হোল্ডিংস।
কয়েকটি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠান করেছেন জয়নুল
হক সিকদার। ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ পোস্ট সিকদার গ্রুপেরই একটি প্রকাশনা।
ন্যাশনাল ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৯৩০ সালের
১২ অগাস্ট আসামে জন্মগ্রহণ করেন জয়নুল হক সিকদার। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় পরিবারের
সাথে তিনি বাংলাদেশে চলে আসেন।
দীর্ঘ সাত দশকের বেশি সময় ধরে তিনি দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য,
আবাসন, পর্যটন, আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন খঅতে যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, তাতে প্রায়
২০ হাজার মানুষ কাজ করছেন বলে জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
সেখানে বলা হয়, “জয়নুল হক সিকদার সেই ১৯৪৫ সাল থেকে জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে তার পাশে থেকেছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার চার দিন পর অর্থাৎ ১৯ আগস্ট তিনি
রায়েরবাজারে কুলখানির আয়োজন করেন।”
সেজন্য সে সময় তাকে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল বলেও
জানানো হয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
জয়নুল হক সিকদারের ছেলেদের মধ্যে রিক হক সিকদার ও রন হক সিকদার
এ গ্রুপের পরিচালক। আর মেয়ে পারভীন হক সিকদার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য।