ক্যাটাগরি

মিয়ানমারে পঞ্চমদিনের মত বিক্ষোভ, শক্তি প্রয়োগের নিন্দায় পশ্চিমারা

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থান রক্তপাতহীন হলেও এখন গণবিক্ষোভ দমনে বলপ্রয়োগ শুরু করেছে জান্তা।

মঙ্গলবারই প্রথম বিক্ষোভে রক্ত ঝরেছে। রাজধানী নেপিডোতে সেদিন বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মিয়ানমার পুলিশ প্রথমে জলকামান এবং পরে রাবার বুলেট ব্যবহার করে।

নেপিডোর বিক্ষোভে মাথায় গুলিবিদ্ধ নারীর চিকিৎসা যেখানে চলছে সেখানকার এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, এক্স-রে রিপোর্ট অনুযায়ী ওই নারীর মাথায় ‘তাজা গুলি বিদ্ধ হয়েছে’। রাবার বুলেট বিদ্ধ আরও তিনজনেরও চিকিৎসা চলছে।

মঙ্গলবারের বিক্ষোভে জান্তা বাহিনীর বলপ্রয়োগের নিন্দা করে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সব নেতার মুক্তি এবং নির্বাচিত এনএলডি সরকারের ‍কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বলেছে।

বুধবারের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তরুণ নেতা এস্থের জে নাউ রয়টার্সকে বলেন, ‘‘আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভেই যদি রক্ত ঝরতে পারে, তাহলে আমরা তাদেরকে দেশের ক্ষমতায় যেতে দিলে আরও রক্ত ঝরবে।”

বুধবার মিয়ানমারের প্রধান বাণিজ্য নগরী ইয়াংগনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। আর রাজধানী নেপিডোতে শতাধিক সরকারি কর্মী গণবিক্ষোভের পক্ষে মিছিল করেছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি অনুযায়ী, পূর্বের কায়া রাজ্যে একদল পুলিশ ইউনিফর্ম পরে বিক্ষোভে করেছেন। তাদের হাতে ‘আমরা স্বৈরাশাসন চাই না’ লেখা ব্যানার ছিল।

বুধবারের বিক্ষোভে কোনও সহিংস ঘটনা ঘটেনি। তবে মঙ্গলবার নেপিডোর বিক্ষোভে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা যে ক্লিনিকে চলছে সেনাবাহিনী সেটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে জানান এক চিকিৎসক।