সেই
সঙ্গে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো.
মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাই কোর্ট বেঞ্চ।
মনোনয়ন
বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে মারুফুল ইসলামের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার আদালত এই আদেশ দেয়।
সেই সঙ্গে
তার মনোনয়নপত্র বাতিলের
আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে
না, তা জানতে চেয়ে জারি করেছে
হাই কোর্ট।
চার
সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ও এনসিসি ব্যাংক
কর্তৃপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ফারজানা শারমিন
পুতুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী
পুতুল পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উচ্চ আদালতের আদেশের ফলে মারুফুল ইসলামের যশোর পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আপাতত কোনো বাধা থাকছে না।”
গত
১৯ জানুয়ারি যশোর পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি মেয়র
প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন মো. মারুফুল ইসলাম।
কিন্তু ব্যাংকের
খেলাপি ঋণ পরিশোধ না
করার কারণ দেখিয়ে রিটার্নিং
কর্মকর্তা গত ৪ ফেব্রুয়ারি
মারুফুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন।
ওই
দিনই তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আপিল করেন। শুনানির পর গত ৭
ফেব্রুয়ারি আপিল কর্তৃপক্ষ রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশই বহাল রাখে। সেই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার হাই কোর্টে রিট করেন মারুফুল ইসলাম।
আইনজীবী
ফারজানা শারমিন পুতুল বলেন, এনসিসি ব্যাংকের যশোর শাখা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন মারুফুল। স্থানীয় সরকার নির্বাচন (পৌরসভা), আইন অনুযায়ী কোনো ঋণ খেলাপি ব্যক্তি
মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন না।
“সে
কারণে এ নির্বাচনের তফসিল
ঘোষণার আগেই গত বছর ২৭
অক্টোবর তিনি ঋণ পুনঃতফসিল করার
জন্য ব্যাংকে আবেদন করেন। গত
৩১ জানুয়ারি ব্যাংক তাকে চিঠি দিয়ে জানায়, তার ঋণ পুনঃতফসিল করা
হয়েছে। ফলে তিনি আর ঋণ খেলাপি
নন।
“অথচ
ব্যাংক কর্মকর্তা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে বলেছে, পুনঃতফসিল করা হয়েছে ৩ ফেব্রুয়ারি। এই
ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। আজ যখন ব্যাংকের
কাগজপত্র দেখিয়েছি, আদালত মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন।”
আগামী
২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সীমানা বিরোধ ও ভোটার তালিকা
হালনাগাদ না করার অভিযোগ
এনে করা রিট আবেদনে মঙ্গলবার হাই কোর্ট যশোর পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত করে দেয় ।