আব্দুল্লাহ শহিদ বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে যান বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, মালদ্বীপ বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু এবং দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বিভিন্ন ইস্যুতে একে অপরকে সমর্থন করে।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, মালদ্বীপে প্রায় ৮৫ হাজার বাংলাদেশি কর্মরত। তারা দুই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশে ‘প্রচুর সংখ্যক’ দক্ষ জনবল রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ আরও দক্ষ জনবল মালদ্বীপে পাঠাতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, চিকিৎসা, প্রকৌশলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার জন্য মালদ্বীপের বহু শিক্ষার্থী বাংলাদেশে অধ্যয়ন করছে। বাংলাদেশে মালদ্বীপের আরও শিক্ষার্থীকে উচ্চ শিক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত বিভিন্ন সমঝোতা স্মারকের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ওষুধ, তৈরি পোশাক, সিরামিক, চামড়া ও চামড়াজাত, পাটজাত পণ্যসহ আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে। মালদ্বীপ বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য বিশেষ করে ওষুধ আমদানি করতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানাতে বাংলাদেশের জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
প্রেস সচিব জানান, সাক্ষাতে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ সব ধরনের সহযোগিতার সম্পর্ক বাড়াতে মালদ্বীপ আগ্রহী বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগদান উপলক্ষে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ শহিদ।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ও সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।