ক্যাটাগরি

সাকিবের অভাব পূরণের পথের সন্ধানে মুমিনুল

সাকিব থাকায় একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান কিংবা বোলার খেলাতে পারে বাংলাদেশ। ঊরুর চোটে তিনি ছিটকে যাওয়ায় ব্যাটিং-বোলিং কোনো বিভাগেরই ক্ষতি না করে একাদশ সাজানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ মুমিনুলদের সামনে। সঙ্গে ছিটকে গেছেন প্রথম টেস্টে ফিফটি করা ওপেনার সাদমান ইসলাম।

পরিবর্তন অনিবার্য। দুটি পজিশনে সঠিক খেলোয়াড় এনে ঘাটতি যতটা সম্ভব পুষিয়ে নেওয়ায় নজর মুমিনুলের। 

“সাকিব ভাই না থাকায় দলে দুই জন খেলোয়াড়কে আনতে হবে!…ঢাকা টেস্টে আমাদের দুই জন খেলোয়াড় নতুন করে খেলবে। দুই পজিশনে দুজন আসবে।”

“যেহেতু সাদমান নাই তাই নতুন একজন আসতে পারে। সাকিব ভাই না থাকায় মিডল অর্ডারে একটা পরিবর্তন আসবে। ছয় নম্বরে আসতে পারে একজন।”

সাকিব ছিটকে যাওয়ার সময়ই বাংলাদেশ জানত সাদমানও অনিশ্চিত। তাই ২০১৯ সালে সবশেষ টেস্ট খেলা সৌম্য সরকারকে দলে ডাকে স্বাগতিকরা। একাদশেও তার চলে আসার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। অন্তত তেমনই আভাস মিলল মুমিনুলের কথায়।

“সাকিব ভাই না থাকলে এমন খেলোয়াড় নিতে হয় যে ব্যাটিং, বোলিং দুইটাই পারে। এমন খেলোয়াড় দরকার ছিল বলে সৌম্যকে দলে আনা হয়েছে।”

যে-ই আসুক বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিবের অভাব অপূরণীয়। চোটের জন্য চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন থেকে আর মাঠে না নামা সাকিবের অভাব প্রবলভাবে অনুভব করেছিলেন মুমিনুল। ঢাকা টেস্টে ওই ভাবনাই পাশে সরিয়ে রাখতে চান তিনি।

“কেউ যদি মনে করে, সাকিব নাই তাই বাংলাদেশ দল চলবে না, তা ঠিক না। যখন সাকিব ভাই ছিলেন না, বাংলাদেশ দল কিন্তু চলেছে, ভালো খেলেছে, ম্যাচ জিতেছে।“

“উনি নেই বলে আমরা পিছিয়ে থাকব, আমি এভাবে চিন্তা করছি না। আমার যেটা আছে সেটা নিয়ে…সাকিব ভাইয়ের থাকা না থাকা নিয়ে এখন আর চিন্তা করছি না। ব্যাপারটা মাথায় যেন না থাকে সেভাবেই চেষ্টা করছি। যা আছে তা নিয়েই খেলতে হবে।”

আগামী বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।