ক্যাটাগরি

হিমবাহে ধস: এখনও নিখোঁজ দুই শতাধিক, ড্রোন মোতায়েন

এদের অধিকাংশই ঋষিগঙ্গার তপোবন বিষ্ণুগাদ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে নিয়োজিত শ্রমিক ছিলেন, ধেয়ে আসা প্লাবনের ধাক্কায় ছোট এ বাঁধটি ধ্বংস হয়ে গেছে।

উদ্ধারকারীরা পর্বতগুলোর আশপাশ থেকে ও ধউলিগঙ্গা নদীর নিম্নপ্রবাহ থেকে এ পর্যন্ত ৩২টি লাশ উদ্ধার করেছে বলে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে।  

বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি সুড়ঙ্গে ৩৫ জন নির্মাণ শ্রমিক আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের খুঁজে বের করতে উদ্ধারকারীরা সুড়ঙ্গের ভেতরে একটি ড্রোন উড়িয়েছে বলে বুধবার কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রোবাবার স্থানীয় সময় সকালে হিমবাহ ধসের পর অলকনন্দা ও ধউলিগঙ্গা নদীতে দেখা দেওয়া হড়কা বানের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ কাদা ও পাথর নেমে আসায় কয়েকটি সেতু ও বাঁধ স্রেফ ভেসে যায়।

এ সময় ৫২০ মেগাওয়াটের তপোবন বিদ্যুৎ প্রকল্পের দুটি সুড়ঙ্গ পানিতে ডুবে গিয়ে মুখ কাদা ও পাথরে বন্ধ হয়ে যায়। একটি সুড়ঙ্গ থেকে অন্তত ১২ জনকে উদ্ধার করা গেলেও অন্য সুড়ঙ্গটি থেকে এখনও কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। এই সুড়ঙ্গে আটকা পড়া শ্রমিকদের বাঁচাতে উদ্ধারকারীরা পানি ও কাদা সরাতে ভারী খননকারী যন্ত্র ব্যবহার করছেন।

রাজ্য পুলিশের প্রধান অশোক কুমার বলেছেন, “আমরা সুড়ঙ্গটিতে প্রবেশ করেছিলাম, কিন্তু ১২০ মিটারের পর আর যেতে পারিনি। সেখানে পুরো রাস্তা ছাদ পর্যন্ত পানিতে ভরা।”

সুড়ঙ্গের ভেতরে পানির মধ্যে আটকা পরে যারা এখনও বেঁচে আছেন তারা হাইপোথার্মিয়ার ঝুঁকিতে আছেন, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন উদ্ধার অভিযানে থাকা ইন্দো-তীব্বত সীমান্ত পুলিশের মুখপাত্র বিবেক পান্ডে। 

অপর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার পাঁচটি ক্যামেরা বসানো একটি ড্রোন সুড়ঙ্গের একটি স্বল্প প্রসারিত অংশে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু সেটি সেখানে কোনো মানুষের উপস্থিতি দেখাতে পারেনি।

ঝলমলে আলোকিত একটি দিনে এরকম প্রবল হড়কা বানের ঘটনা নন্দা দেবী পর্বতের কোনো হিমবাহের বড় একটি অংশ নদীতে ভেঙে পড়ার কারণে ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে গলতে থাকা তুষার ধসের কারণেই এ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশি।