বিসিবির লাল বলের চুক্তিতে জায়গা না পাওয়া ও বেশ কিছুদিন টেস্ট ক্রিকেটের জন্য বিবেচনার বাইরে থাকা মুস্তাফিজুর রহমান সুযোগ পেয়ে যান চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশে। প্রথম ইনিংসে দারুণ বোলিংও উপহার দেন। মিরপুর টেস্টে এই বাঁহাতি পেসারকে একাদশে নেয়নি বাংলাদেশ। একমাত্র স্পেশালিস্ট পেসার এখানে আবু জায়েদ চৌধুরি।
চট্টগ্রামে নতুন বলে দুর্দান্ত স্পেলে জোড়া শিকার ধরেছিলেন মুস্তাফিজ। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য বল ভেতরে আনা ডেলিভারির প্রয়োগও দেখিয়েছিলেন কিছুটা। পরে তার ঝামেলা হয়ে যায় ফলো থ্রুতে। পিচের বিপজ্জনক জায়গায় বারবার পা পড়ায় তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক করে দেন আম্পায়ার। এরপর ফলো থ্রুতে নিরাপদ থাকতে বোলিং ক্রিজে স্টাম্পের একটু দূর থেকে বল ছাড়তে থাকেন মুস্তাফিজ। তাতে তার কার্যকারিতা কমে যায় অনেকটা। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ছিলেন বেশ খরুচে।
মিরপুরে প্রথম দিনে আবু জায়েদ প্রথম স্পেলে ভালো করতে না পারলেও পরে দারুণ বোলিংয়ে নেন ২ উইকেট। প্রথম দিনে দলের সেরা বোলারও নিঃসন্দেহে তিনিই।
টিভি ধারাভাষ্যে এ দিন মুস্তাফিজের বাদ পড়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন ইয়ান বিশপ। দিন শেষে সাবেক এই ক্যারিবিয়ান ফাস্ট বোলার প্রশ্নটি করার সুযোগ পান ওটিস গিবসনের কাছে। বাংলাদেশের বোলিং কোচ ব্যাখ্যা করেন কারণ।
“ চট্টগ্রামে উইকেট দেখেই আমরা ফিজকে (মুস্তাফিজ) নিয়েছিলাম। আমাদের মনে হয়েছিল, এই উইকেটের সদ্ব্যবহার সবচেয়ে বেশি করতে পারবে সে। বিশেষ করে, চতুর্থ-পঞ্চম দিনে তার কাটার কার্যকর হতে পারে। প্রথম ইনিংসে নতুন বলে তো দুর্দান্ত দুটি উইকেট নিয়েছেই। চট্টগ্রামে ফিজের আরেকটি ইস্যু ছিল ফলো থ্রুতে উইকেটে পা পড়া নিয়ে। সেটি আমরা ঠিক করে ফেলার চেষ্টা করছি।”
“এখানে (মিরপুরে) আমাদের মনে হয়েছে, বল এখানে একটু বেশি সুইং করে। রাহি (আবু জায়েদ) বল দারুণভাবে সুইং করায়, আজকে যেমন দেখেছেন। একটু বেশি গোছানোও সে। উইকেট না পেলেও নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে, খুব বেশি রান সে দেয় না। এই পরিবর্তনটা তাই আমাদের প্রয়োজনীয় মনে হয়েছে।”