ক্যাটাগরি

দুই পেসার খেলানোর সাহস দেখাতে হবে, বলছেন বোলিং কোচ

গিবসন বোলিং কোচ হয়ে আসার পর থেকেই পেসারদের বেশি খেলার সুযোগ দেওয়া নিয়ে কথা বলে আসছেন নিয়মিত। পেস বোলিংয়ে সামগ্রিক উন্নতির বিভিন্ন পরামর্শ নানা সময়ই দিয়েছেন তিনি। পেসারদের নিয়ে প্রচুর কাজ করতেও দেখা যায় তাকে।

কিন্তু চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে বাংলাদেশ দলকে দেখা গেছে বরাবরের মতোই পেস বিমুখ। স্কোয়াডে যদিও পেসার ৫ জন। তবে চট্টগ্রাম টেস্টের বাংলাদেশ একাদশে পেসার ছিলেন কেবল একজন, মুস্তাফিজুর রহমান। মিরপুর টেস্টে একমাত্র স্পেশালিস্ট পেসার আবু জায়েদ চৌধুরি। সঙ্গে আছেন কাজ চালানোর মিডিয়াম পেসার সৌম্য সরকার, যিনি মূলত ব্যাটসম্যান।

আবু জায়েদ প্রথম দিনে নেন ২ উইকেট। এমনকি সৌম্যও নিতে পেরেছেন গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেট, ফিরিয়ে দিয়েছেন থিতু হয়ে যাওয়া প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে।

পেস বোলিংয়ে এই সাফল্য দেখে বাংলাদেশের বাস্তবতা মাথায় রেখেও দিন শেষে আক্ষেপ করলেন বোলিং কোচ গিবসন।

“ফাস্ট বোলিং কোচ হিসেবে অবশ্যই আমার ভালো লাগত আরও দু-একজন ফাস্ট বোলার খেলাতে পারলে। কিন্তু এই মুহূর্তে তা কঠিন, বাস্তবতার কারণেই আমরা এক পেসার খেলাচ্ছি। তবে আমার মনে হয়, আজকের কন্ডিশন দেখিয়ে দিয়েছে যে, কখনও কখনও এমনকি বাংলাদেশেও দুই জন পেসার খেলানোর সাহসী সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হবে।”

এই সিরিজের আগে সবশেষ টেস্টে গত ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে বাংলাদেশ একাদশে রেখেছিল দুই পেসার আবু জায়েদ ও ইবাদত হোসেন চৌধুরিকে। আবু জায়েদ প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। ওই ম্যাচের আগের টেস্ট ছিল ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সেই টেস্টে বাংলাদেশের একাদশে ছিল না একজন স্পেশালিস্ট পেসারও।