মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দিনের মতো বিক্ষোভ চলার মধ্যে প্রথম জনসম্মুখে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে হ্লাইং এ আহ্বান জানান।
দেশে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের ক্রমবর্ধমান অসহযোগ আন্দোলনে কাজ বন্ধের জন্য ‘অসাধু ব্যক্তিদের’ দায়ী করে হ্লাইং বলেছেন, “যারা দায়িত্ব থেকে দূরে সরে আছেন, অনুরোধ করছি তারা যেন আবেগকে প্রাধান্য না দিয়ে দেশ ও জনগণের স্বার্থে অবিলম্বে কাজে ফেরেন।”
সামরিক জান্তার তথ্য সেবা কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে হ্লাইং জমায়েতের কারণে কোভিড সংক্রমণের বিস্তার ঘটতে পারে বলে জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে তা এড়িয়ে চলারও আহ্বান জানান।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী। আটক করে নেত্রী সু চিকে, জারি করে একবছরের জরুরি অবস্থা। এরপর থেকেই জান্তার বিরুদ্ধে জনরোষ বড় ধরনের বিক্ষোভে রূপ নিয়েছে।
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রতিজ্ঞায় টানা ষষ্ঠদিনের মতো বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ হয়েছে মিয়ানমারজুড়ে। রাজধানী নেপিডোর রাস্তায় শত শত আন্দোলন কর্মী লাইন ধরে দাঁড়িয়ে জান্তা-বিরোধী স্লোগান দিয়েছে, সু চির সমর্থনে লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। অভ্যুত্থান রক্তপাতহীন হলেও গণবিক্ষোভ দমনে বলপ্রয়োগ শুরু করেছে জান্তা।
মঙ্গলবার এক নারী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও বিক্ষোভ দমেনি। ওইদিনই প্রথম বিক্ষোভে রক্ত ঝরেছে। রাজধানী নেপিডোতে সেদিন বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মিয়ানমার পুলিশ প্রথমে জলকামান এবং পরে রাবার বুলেট ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ সামরিক জান্তার শক্তি প্রয়োগের নিন্দা করেছে।