মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনে কেবল এনক্রুমা বনারের উইকেট নিতে
পেরেছে বাংলাদেশ। সেশনে ২৯ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে ১০২ রান।
লাঞ্চ বিরতিতে প্রথম ইনিংসে ক্যারিবিয়ানদের রান ৬ উইকেটে ৩২৫।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য দারুণ সেশনে একমাত্র আক্ষেপের নাম এনক্রুমা বনার।
টানা দুই ইনিংসে সুবাস পেয়েও সেঞ্চুরি পেলেন না এই ব্যাটসম্যান। আগের টেস্টে ৮৬ রানের
পর এবার তিনি আউট ৯০ রানে।
বনার ফিরলেও সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছেন জশুয়া দা সিলভা। কিপার-ব্যাটসম্যান
অপরাজিত ৭০ রানে। রান উৎসবে মেতেছেন এমনকি পেসার আলজারি জোসেফও। ৫ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত
তিনি ৩৪ রানে।

প্রথম সেশনে বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য মেহেদী হাসান মিরাজের, ৯০ রানে ফেরেন বনার।
দিনের প্রথম ওভার থেকেই শুরু হয় বাংলাদেশের এলোমেলো বোলিং। প্রথম দিনের
সফলতম বোলার আবু জায়েদ দিন শেষে বলেছিলেন, ক্যারিবিয়ানদের আটকে রাখতে চান তিনশর মধ্যে।
দ্বিতীয় দিনের শুরুটা হয় তার হাত ধরেই। কিন্তু তিনিই ছিলেন সবচেয়ে বিবর্ণ।
তার শক্তির জায়গা সুইং। অথচ একের পর এক লেংথ ও শর্ট অব লেংথ ডেলিভারি করে
যান। ফুল লেংথ কয়েকটি করেন লেগ স্টাম্পে। তাতে বনার ও জশুয়া আরামেই বাড়ান রান।
আরেকপাশে তাইজুল ইসলামও রাখতে পারেননি তেমন কোনো প্রভাব। দিনের প্রথম ৮
ওভারে ছিল না কোনো মেডেন। প্রথম ঘণ্টায় রান আসে ওভারপ্রতি প্রায় চার করে।
মেহেদী হাসান মিরাজ বোলিংয়ে আসার পর একটু ধার বাড়ে আক্রমণের। উইকেটও এনে
দেন তিনিই। বনারের ডিফেন্স থেকে আসা বল লেগ স্লিপে দারুণ ক্যাচ নেন মোহাম্মদ মিঠুন।
২০৯ বলে ৯০ রানে থামে বনারের অভিযান। জশুয়ার সঙ্গে তার জুটি থামে ৮৮ রানে।
মিরাজের পরের ওভারেই জশুয়া ফিফটি স্পর্শ করেন তার দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি,
৮৬ বলে। এরপরও তিনি এগিয়ে যান দারুণ ব্যাটিংয়ে।
রাকিম কর্নওয়ালের আগে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পেয়ে জোসেফও দেখিয়ে দেন নিজের
ব্যাটিং সামর্থ্য। দুর্দান্ত সব শটে রান বাড়ান দ্রুত। মিরাজ ও তাইজুলকে ছক্কায় ওড়ান
লং অন দিয়ে। পেস-স্পিন, সবই সামলান কোনো অস্বস্তি ছাড়াই।
লাঞ্চের সময় এই দুজনের জুটির রান ৫৯।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
(লাঞ্চ পর্যন্ত) :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম
ইনিংস : (আগের দিন ২২৩/৫) ১১৯ ওভারে ৩২৫/৬ (বনার ৯০, জশুয়া ৭০*, জোসেফ ৩৪*; আবু
জায়েদ ২৫-৬-৭৫-২, মিরাজ ৩২-৯-৬৮-১, নাঈম ১৮-৩-৫৬-০, তাইজুল ৩৬-৫-৯০-২, সৌম্য ৮-১-৩০-১)