গত রোববার উত্তরাখণ্ড রাজ্যের চামোলি জেলার জোশিমঠে হিমবাহ ধসে কাছের অলকনন্দা ও ধউলিগঙ্গা নদীতে প্রবল বান দেখা দেয়, পানির তোড়ে পাঁচটি ঝুলন্ত সেতু ভেসে যায়, ঘরবাড়ি ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়; ঋষিগঙ্গার কাছে তপোবন বিষ্ণুগাদ হাইড্রোলিক পাওয়ার প্রজেক্টও ধ্বংস হয়ে যায়।
পানি পরিবহনের জন্য দুটি সুড়ঙ্গপথের মাধ্যমে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তপোবন বিষ্ণুগাদ হাইড্রোলিক পাওয়ার প্রজেক্টের সংযোগ ছিল। ওই দুই সুড়ঙ্গের ৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বড় টানেলে ৩৫ নির্মাণ শ্রমিক আটকা পড়েন বলে কর্তৃপক্ষের ধারণা।
ওই ৩৫ নির্মাণ শ্রমিকসহ মোট ১৭১ জন হিমবাহ ধসের ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা এ পর্যন্ত ৩৮ জনের লাশ উদ্ধার করতে পেরেছেন।
পাঁচ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর এখন মূলত ধসে পড়া ওই টানেল ঘিরেই উদ্ধার কার্যক্রম কেন্দ্রীভূত হয়েছে।
চামোলি জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা স্বাতী ভাদুড়িয়া বলেন, “আমরা এখনও হাল ছাড়িনি, পূর্ণ শক্তি নিয়ে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, সারা রাত ধরে কাজ চলছে।”

ছবি: রয়টার্স
ওই এলাকায় সেনা সদস্যদেরও কাজে লাগাচ্ছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। টানেলের ভেতরে ড্রোন পাঠিয়ে ছবি আনা হচ্ছে, সে অনুযায়ী খনন চালিয়ে পথ তৈরির চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা সেখানে জীবিত কারও চিহ্ন পাননি।
স্বাতী ভাদুড়িয়া বলেন, “কিছু না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের এই চেষ্টা থামানো যাবে না। আমরা যদি ধরেও নিই যে তাদের আর জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব না, তারপরও পরিবারগুলোর কথা চিন্তা করে আমাদের অন্তত মৃতদেহগুলোর খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যেতে হবে।”