গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারে ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী। আটক করে নেত্রী সু চিকে, জারি করে একবছরের জরুরি অবস্থা। এরপর থেকেই জান্তার বিরুদ্ধে জনরোষ বড় ধরনের বিক্ষোভে রূপ নিয়েছে।
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সংকল্পবদ্ধ হয়ে টানা ষষ্ঠদিনের মতো বৃহস্পতিবার মিয়ানমারজুড়ে মানুষ বিক্ষোভ করেছে। এদিন সামরিক জান্তা নেতা জেনারেল মিন অং হ্লাইং প্রথম জনসম্মুখে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিক্ষোভের অবসান ঘটিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের অবিলম্বে কাজে ফেরার আহ্বান জানান।

এরপরও শুক্রবার সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে। মিয়ানমারের এক রেডক্রস কর্মকর্তা বলেছেন, দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় মাওলামাইন শহরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে তিনজন আহত হয়। একজন নারীর তলপেটে গুলি লাগে। বাকী দুইজনের একজন গালে এবং অপরজন বাহুতে গুলিবিদ্ধ হয়।
বিক্ষোভে আরও মানুষ যোগ দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। রেডিও ফ্রি এশিয়ার সম্প্রচার করা ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ করছে। বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা পুলিশের দিকে পাথর ছুড়ে মারছে।
ইয়াঙ্গনে শত শত চিকিৎসক সাদা পোশাক (অ্যাপ্রন) পরে শেডাগন প্যাগোডা অভিমুখে পদযাত্রা করেছে। শহরের আরেক অংশে ফুটবল ভক্তরা জার্সি পরে সামরিক জান্তা বিরোধী ব্যঙ্গাত্মক স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেছে।
ফেইসবুক মিয়ানমার জান্তার সব কনটেন্ট ব্লক করে দেবে বলে জানিয়েছে। এ সমস্ত কনটেন্ট থেকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে তারা জানিয়েছে।
ওয়াশিংটন মিয়ানমারে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পর ইইউ আইনপ্রণেতারা বৃহস্পতিবার তাদের দেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ডাক দিয়েছে। যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা অভ্যুত্থানকারী নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভেবে দেখছে।