শনিবার সকালে ঢাকায় বায়তুল মোকাররমের স্বর্ণ
মার্কেটের সামনে এই সমাবেশ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন হকার-শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের
সভাপতি মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল।
তিনি দেলোয়ারের মুক্তি দাবি করে বলেন, “দেলোয়ার
হোসেন পল্টন মোড়ে পুরান বই বিক্রি করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, দেলোয়ার
পুরান যে ডিরেক্টরি বিক্রি করেছে, সেই ডিরেক্টরির ফোন নম্বর থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য
হুমকি দেওয়া হয়েছে।
“এখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাছ ধরতে
না পেরে ছিপে কামড় দিয়েছে। ছিপে কামড় না দিয়ে মাছ ধরুন। আপনাদের অযোগ্যতার কারণে গরিব
দেলোয়ারের স্ত্রী, সন্তান ও পিতা মাতাকে না খেয়ে থাকতে হয়।”
হকারদের পুনর্বাসনের দাবির তুলে ধরে শিমুল
বলেন, “জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনের প্রতিটি ছত্রে ছত্রে গরিব-মেহনতী
মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন।
“হকার পুনর্বাসন এবং পুনর্বাসনের জন্য রাষ্ট্রীয়
নীতিমালা প্রণয়ন ছাড়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের অঙ্গীকার শতভাগ পূরণ
হওয়া সম্ভব নয়।”
সমাবেশ থেকে হকারদের জন্য রাষ্ট্রীয় নীতিমালা
প্রণয়ন, তার আগে হকার উচ্ছেদ বন্ধ করা, হকারদের থেকে চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১০ দাবি তুলে
ধরা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হকার শ্রমিক
ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহ সভাপতি আব্দুস সালাম, মো. বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.
গোলাপ, মো, ওসমান গনি, সহ সাধারণ সম্পাদক লিটন হোসেন, আব্দুল মজিদ, প্রচার সম্পাদক
মো. সেলিম ও উপ দপ্তর সম্পাদক শাজেল ইসলাম।