তৃতীয় দিনের খেলা
শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪১ রান। এনক্রুমা বনার ৮ ও নাইটওয়াচম্যান জোমেল ওয়ারিক্যান
২ রানে ব্যাট করছেন। প্রথম ইনিংসে বড় লিড পাওয়া ক্যারিবিয়ানরা ১৫৪ রানে এগিয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের
স্পিনাররা সামনে ভুগছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিন তিন স্পিনারকে দিয়ে ২১ ওভার বোলিং করান
মুমিনুল হক। তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান নেন একটি করে উইকেট।
শুরুটা করেন নাঈম।
তরুণ এই অফ স্পিনারের বলে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। স্পিন করে
লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যাওয়া বল খেলতে গিয়ে ঠিক মতো পারেননি ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক।
গ্লাভস ছুঁয়ে জমা পড়ে লিটনের গ্লাভসে।
বাংলাদেশ রিভিউ নেওয়ার
আর অপেক্ষা করেননি ব্র্যাথওয়েট। হাঁটা ধরেন প্যাভিলিয়নের দিকে। রিপ্লেতে দেখা গেছে
তার গ্লাভস ছুঁয়েছে বল।
শেন মোজলিকে ফিরিয়ে
টেস্টে একশ উইকেটের অপেক্ষার অবসান হয় মিরাজের। তাইজুল ইসলামকে ছাড়িয়ে দেশের হয়ে দ্রুততম
একশ উইকেটে রেকর্ড এখন এই অফ স্পিনারের।
একটু বাড়তি স্পিন
ও বাউন্স করা বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ মুঠোয় জমান মোহাম্মদ মিঠুন।
আর যেন উইকেট না
পড়ে সাবধানী ছিলেন জন ক্যাম্পবেল। কিন্তু এতো সাবধান থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি। তাইজুলের
বল ডিফেন্স করেছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বল পিচে ড্রপ খেয়ে লেগ স্টাম্পের উপরে লেগে
ফেলে দেয় বেলস। বোল্ড হয়ে যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না ক্যাম্পবেলের।
দিনের বাকি সময় নাইটওয়াচম্যান
ওয়ারিক্যানকে নিয়ে পার করে দেন বনার। ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ালেও ম্যাচে এখনও
ওয়েস্ট ইন্ডিজই চালকের আসনে। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন ঠিক করে দিতে পারে ঢাকা টেস্টের
গতিপথ।
তৃতীয় দিন উইকেট
থেকে খুব একটা সুবিধা মেলেনি। বোলাররা লাইন, লেংথ ও গতির বৈচিত্র্য আর ব্যাটসম্যানদের
বাজে শটে পেয়েছেন উইকেট।
মিরপুর শের-ই-বাংলা
জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার ৪ উইকেটে ১০৫ রান নিয়ে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। মুশফিকুর
রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে শুরুটা ভালোই করে স্বাগতিকরা। তবে দুই ব্যাটসম্যানই
নিজেদের উইকেট উপহার দিয়ে এলে আবার চাপে পড়ে দল।
মুহূর্তের অমনযোগিতায়
ক্যাচ দিয়ে ফিরেন মিঠুন। দৃষ্টিকটু এক রিভার্স সুইপ করে ধরা পড়েন মুশফিক। ৭ চারে ১০৫
বলে তিনি করেন ৫৪ রান। দুইজনই আউট হন রাকিম কর্নওয়ালের বলে।
লিটন দাস ও মেহেদী
হাসান মিরাজের ব্যাটে ফলো অন এড়ানো বাংলাদেশ আশা জাগায় ব্যবধান একশ রানের নিচে নামিয়ে
আনার। কিন্তু দ্বিতীয় নতুন বলে স্বাগতিকদের ২৯৬ রানে থামিয়ে দিয়ে ১১৩ রানের লিড নেয়
ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কর্নওয়ালকে প্যাডেল
সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন লিটন। ৭ চারে এই কিপার-ব্যাটসম্যান করেন ৭১ রান। আগের ম্যাচের
সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী হাসান মিরাজকে থামান শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ৬ চারে মিরাজের রান ৫৭।
এরপর বেশিদূর এগোয়নি
বাংলাদেশের ইনিংস। ৭৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের সেরা বোলার কর্নওয়াল। গ্যাব্রিয়েল
৩ উইকেট নেন ৭০ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪০৯
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: (আগের দিন ১০৫/৪) ৯৬.৫ ওভারে ২৯৬ (মুশফিক ৫৪, মিঠুন
১৫, লিটন ৭১, মিরাজ ৫৭, নাঈম ০, তাইজুল ১৩*, আবু জায়েদ ১; গ্যাব্রিয়েল ২১-৩-৭০-৩, কর্নওয়াল
৩২-৮-৭৪-৫, জোসেফ ১৭.৫-৩-৬০-২, মেয়ার্স ৮-২-১৫-০, ওয়ারিক্যান ১৩-২-৪৮-০, বনার ৩-০-১৭-০,
ব্র্যাথওয়েট ২-০-৭-০)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ২১ ওভারে ৪১/৩ (ব্র্যাথওয়েট ৬,
ক্যাম্পবেল ১৮, মোজলি ৭, বনার ৮*, ওয়ারিক্যান ২*; তাইজুল ৭-২-১৩-১, নাঈম ১০-৩-১৪-১,
মিরাজ ৪-০-১৪-১)