রিয়াল মাদ্রিদে
সময় ভালো কাটছিল না। গত গ্রীষ্মের দলবদলে সেখান থেকে ধারে টটেনহ্যামে ফেরার পরও মিশ্র
অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বেলকে। চোট ও ম্যাচ ফিটনেসের ঘাটতির কারণে দলে সুযোগ
মিলছে কমই।
গত বুধবার এফএ কাপের
পঞ্চম রাউন্ডে স্বাগতিক এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, ‘ভালো
এক অনুশীলন পর্ব’
শেষ হলো। তবে ওই ম্যাচের বেঞ্চেও ছিলেন না তিনি।
প্রিমিয়ার লিগে
শনিবার স্বাগতিক ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে খেলবে টটেনহ্যাম; এর আগের দিন শুক্রবার
মরিনিয়োর সংবাদ সম্মেলনে ওঠে বেলের প্রসঙ্গ। পর্তুগিজ কোচ বলেন, বেলের মন্তব্য ভুল
বার্তা দেয়। স্ক্যানে চোট ধরা পড়েনি, তবু বেল নিজেই তাকে স্কোয়াডে না রাখতে বলেছিল।
“আমাকে বলতেই হচ্ছে,
তার পোস্ট এমন কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছে যা নিয়ে পরিষ্কার হওয়া দরকার। কারণ তার কথা ও বাস্তবতার
মধ্যে মিল নেই।”
“মৌসুমের শুরু থেকে দলের অভ্যন্তরীন বিষয়ে সবকিছু আমি
খুব গোপন রাখতে চেয়েছি, চেষ্টা করেছি সবকিছু নিজেদের ভেতরে রাখতে; কিন্তু এখন মনে হচ্ছে
সমস্যাটা নিয়ে আমার কিছু বলা দরকার।”
বেলের পোস্টে ভুল
বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন মরিনিয়ো।
“হয়তো ওই পোস্টের দায়ভার তারও নয়, আমি জানি না…কিন্তু পোস্টের বিষয় ছিল
এমন: ‘অনুশীলন সেশন অসাধারণ হয়েছে’, তার মানে আমি প্রস্তুত আর এই বিষয় পুরোপুরি ভুল।”
“সে ভালো অনুভব করছিল না। সে স্ক্যান করাতে বলেছিল। স্ক্যানে
কোনো চোট পাওয়া যায়নি, কিন্তু তার খারাপ লাগার বিষয়টি তো ছিল।”
মূলত ওই কারণেই
তাকে দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি ও ম্যানচেস্টার
ইউনাইটেডের সাবেক এই কোচ।
“কোচ, ক্রীড়া বিজ্ঞান ও ডাক্তারি পেশার কেউই খেলোয়াড়ের
অনুভূতিকে অবহেলা করতে পারে না। কারণ খেলোয়াড়ের অনুভূতি আমাদের সবার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তাই ম্যাচের জন্য সে প্রস্তুত ছিল না, সহজ কথা।”
“আগামীকালের (শনিবার) ম্যাচের জন্য সে যদি প্রস্তুত থাকে
তবে স্কোয়াডে সুযোগ পাবে।”
গত অক্টোবরে টটেনহ্যামে
ফেরার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে কেবল দুই ম্যাচে শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়েছেন
৩১ বছর বয়সী বেল। বেশি খেলেছেন ইউরোপা লিগে; তবে সব মিলে তার ফেরাটা আশানুরূপ হয়নি।