ক্যাটাগরি

মুশফিকের আত্মহত্যা, মিঠুনের উপহার

মুশফিকের আগেই অবশ্য উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার মিছিলে সামিল মোহাম্মদ মিঠুন। দুই থিতু ব্যাটসম্যানের বিদায়ে আরও ঘনীভূত বাংলাদেশের বিপদ।

মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৮১।

সকালের সেশনে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৬ রান, উইকেট হারাতে হয়েছে ওই ২টি। ব্যাটসম্যানের বদান্যতায় দুটি শিকারই রাকিম কর্নওয়ালের।

অথচ দিনের শুরুটা ছিল বাংলাদেশের জন্য দারুণ আশা জাগানিয়া। ফরোয়ার্ড শর্ট লেগ ও লেগ গালি রেখে শর্ট বল করার কৌশল নিয়ে শুরু করেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। তা কাজে লাগেনি। উল্টো তিনি নো বল করেন তিনটি। ফুল লেংথে বল পেলেই ড্রাইভ করেন মুশফিক ও মিঠুন। আরেক পাশে বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যানও সুবিধা করতে পারেননি। দলের রান বাড়তে থাকে অনায়াসে।

বিপর্যয় থেকে দলকে উদ্ধার করে মুশফিক ও মিঠুনের জুটি।

বিপর্যয় থেকে দলকে উদ্ধার করে মুশফিক ও মিঠুনের জুটি।

আগের দিন শেষ বিকেলে চোয়ালবদ্ধ লড়াইয়ে ৬১ বলে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মিঠুন। নতুন দিনেও তার ব্যাটিংয়ে ছিল প্রতিজ্ঞার ছাপ। কিন্তু এক মুহূর্তের অমনযোগীতায় শেষ হয় তার প্রচেষ্টা। ৮৬ বলে ১৫ করে বিদায় নেন কর্নওয়ালের বলে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে।

পঞ্চম উইকেটে মুশফিক-মিঠুনের জুটি ছিল ১৮১ বলে ৭১ রানের।

২৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা মুশফিক ফিফটি স্পর্শ করেন ৮৯ বলে। এক মুহূর্তের জন্যও অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায়নি তাকে। কিন্তু হঠাৎই চেপে বসে রোমাঞ্চের ভূত। কর্নওয়ালের নিরীহ এক বলে রিভার্স সুইপ করতে যান। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় কাভারে। ১০৫ বলে ৫৪ রানের ইনিংসটি গড়া যতটা সাবলীলতায়, শেষ হওয়ার ধরন ভুলিয়ে দিল যেন সবকিছু।

লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ এরপর আর বিপদ হতে দেননি লাঞ্চের আগে। তবে বাংলাদেশ বিপদ মুক্ত হওয়ার ঠিকানা এখনও বহুদূর।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ৪০৯

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : (আগের দিন ১০৫/৪) ৬১ ওভারে ১৮১/৬ (মুশফিক ৫৪, মিঠুন ১৫, লিটন ২৩*, মিরাজ ১১*; গ্যাব্রিয়েল ১৩-৩-৪৯-২, কর্নওয়াল ২০-৭-৪০-৩, জোসেফ ১৩-৩-৪৮-১, মেয়ার্স ৫-১-১২-০, ওয়ারিক্যান ৯-২-৩১-০)।