মেয়র হিসাবে শপথ গ্রহণের
দুদিন পর শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা পুরোপুরি
নিরসন করতে হলে চট্টগ্রামে নতুন খাল খনন করতে হবে। পুরানো যে খালগুলো আছে, সেগুলো বেদখল
হয়ে গিয়েছে, অনেক প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছে।
“আমার কথা হচ্ছে, এই
খাল কোনো ব্যক্তির নয়। যত প্রভাবশালী ব্যক্তি হোক, আমি চেষ্টা করব, খালগুলো উদ্ধার
করে এই খালগুলো খনন করে জল চলাচলের ব্যবস্থা করার।”
প্রভাবশালীদের কাছ
থেকে দখল হয়ে যাওয়া নর্দমা ও অন্যান্য জলাশয়গুলো উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হবে বলেও
জানান মেয়র।

ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার চিটাগাং জার্নালিস্টস ফোরাম আয়োজিত মিট দি প্রেস অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের নতুন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
রেজাউল করিম চৌধুরী
বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদানে ছয় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প
চলছে। সেটার বাস্তবায়ন হলে এক বছরের মাথায় জলাবদ্ধতা অনেক কমে আসবে।
নবনির্বাচিত এই মেয়র
বলেন, পাঁচ বছরের মেয়াদে জলাবদ্ধতা ১০০ ভাগ দূর করতে না পারলেও ৮০-৯০ ভাগ কমিয়ে আনতে
চান তিনি।
নগরীর বিভিন্ন কাজ
করার ক্ষেত্রে অন্যান্য সরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়
বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে রেজাউল
বলেন, সমন্বয় সভায় দেখা যায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এমন প্রতিনিধি আসেন, যিনি সিদ্ধান্ত
বাস্তবায়নের ক্ষমতা রাখেন না। এ কারণে সভাগুলো কার্যকর হয় না।
“আমি চাই সমন্বয় সভাগুলো
কার্যকর হোক। সভায় মেয়রের প্রাধান্য যেন থাকে।”
চিটাগং জার্নালিস্টস
ফোরাম ঢাকা (সিজেএফডি) আয়োজিত সংবর্ধনা ও মিট দা প্রেস অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মেয়র
রেজাউল করিম চৌধুরী।