ক্যাটাগরি

যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ফিরেছেন সেনাপ্রধান

তিনি শুক্রবার দেশে
ফেরেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো
হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের
সেনাপ্রধান জেনারেল জেমস ম্যাকনভিলের আমন্ত্রণে গত ২৯ জানুয়ারি সফরে গিয়েছিলেন
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান।

সফরকালে তিনি জেনারেল
ম্যাকনভিলসহ যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি জাতিসংঘের
কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর
বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা পরিদর্শন করে তাদের প্রশিক্ষণ সুবিধাও দেখেন জেনারেল আজিজ।

আইএসপিআর জানায়, বিভিন্ন বৈঠকে সেনাপ্রধান বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক
সহযোগিতামূলক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর খুনি
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাশেদ চৌধুরীকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টিও
আলোচনায় তোলেন জেনারেল আজিজ।

যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ট বেনিংয়ে মার্কিন সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা ও প্রশিক্ষণ সুবিধা পরিদর্শনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। ছবি: আইএসপিআর

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, “গত ৪ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ম্যাকনভিলের পক্ষ
থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় ১৯বার তোপধ্বনির মাধ্যমে
সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।”

গত সপ্তাহে জাতিসংঘ
শান্তিরক্ষা মিশনের সামরিক উপদেষ্টা, সহকারী মহাসচিব এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের
স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করেন সেনাপ্রধান।

জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তারা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পেশাগত দক্ষতার ভূয়সি প্রশংসা করেন বলে
আইএসপিআর জানায়।

আলোচনায় বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর নতুন একটি হেলিকপ্টার ইউনিট মালিতে শান্তি রক্ষা মিশন এলাকায় মোতায়েন
এবং কঙ্গোতে ১৩ সদস্যের একটি মিলিটারি পুলিশ ডিটাচমেন্ট প্রদানের জন্য আহ্বান
জানান জেনারেল আজিজ।

এছাড়া শান্তিরক্ষা
মিশনে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাবও দেন তিনি।

“জাতিসংঘ
শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং নীতিনির্ধারণী
ফোর্স/ কমান্ড পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে সেনাবাহিনীর প্রধানের সফর
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে,” বলছে আইএসপিআর।