দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশে শনিবার তিনটি বোমা বিস্ফোরণে এক কমান্ডারসহ নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত চার সদস্য নিহত এবং সাত জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
আহত হয়েছে বেসামরিক তিন নাগরিকও। কোনও জঙ্গি দলই তাৎক্ষণিকভাবে ওইসব হামলার দায় স্বীকার করেনি। সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই রাস্তার ধারে পেতে রাখা বোমায় সরকারি কর্মকর্তা, বিচারক, সাংবাদিক ও অন্যান্য কর্মীরা নিহত হয়েছে।
কাতারে তালেবান এবং আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার মধ্যেই এই রক্তক্ষয় ঘটছে আফগানিস্তানে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শিবির গতবছর ফেব্রুয়ারিতে তার পূর্বসূরি ডনাল্ড ট্রাম্পের করা শান্তিচুক্তি পর্যালোচনা করে দেখছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী ১ মে’র মধ্যে সব আমেরিকান এবং মিত্র বাহিনীর আফগানিস্তান ছাড়ার কথা রয়েছে।
চুক্তি সই হওয়ার সময়ই আফগানিস্তানে সেনা এরই মধ্যে ১২ হাজার থেকে ২, ৫০০ তে নামিয়ে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু আফগানিস্তানে সহিংসতা বেড়েছে বৈ কমেনি। এসব সহিংসতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগান সরকার তালেবান গোষ্ঠীকেই মূলত দায়ী করছে।
শনিবার দক্ষিণ কান্দাহার প্রদেশে পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, সেখানে বিস্ফোরকভর্তি একটি গাড়ি বিস্ফোরিত হয়েছে। একটি পুলিশ পোস্টকে নিশানা করে এ হামলা চালানো হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন চার পুলিশ কর্মকর্তা।
আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, “কান্দাহারের আরঘানন্দাবে শুক্রবার রাতের অভিযানে ১৮ তালেবান নিহত এবং আরও ৯ জন আহত হয়েছে।”
পূর্ব কুনার প্রদেশে চাপা দারা জেলার পুলিশ কমান্ডারকে নিশানা করে ঘটানো বিস্ফোরণে ওই কমান্ডারসহ চার পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রাদেশিক পুলিশ কর্মকর্তা।
এছাড়া, পূর্ব নানগরহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদে রাস্তার ধারে পেতে রাখা বোমায় তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।