ক্যাটাগরি

নিউ জিল্যান্ডে আবারও কোভিড, নগরী লকডডাউন

গত ২৪ জানুয়ারির পর এই প্রথম আবার দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হল।

সোমবার থেকে শুরু হতে চলা তিনদিনের ওই লকডাউনে অকল্যান্ড জুড়ে তিন স্তরের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ সময়ে জরুরি পণ্য ক্রয় এবং জরুরি কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।

সরকারি সব ভেন্যু বন্ধ থাকবে। বিয়ে এবং অন্ত্যষ্টিক্রিয়ায় অনুষ্ঠান ছাড়া বাড়ির বাইরে জমায়েতও নিষিদ্ধ। ওই দুই অনুষ্ঠানের জন্যও সর্বোচ্চ ১০ জন উপস্থিতির সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। স্কুল খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রাজধানী ওয়েলিংটনে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী অ’ডুর্ন বলেন, ‘‘আমরা এর আগেও করোনাভাইরাসকে উপড়ে ফেলেছি এবং আমরা আবারও এটা করব।”

গত জানুয়ারির শেষদিকে নতুন করে একজন শনাক্ত হওয়ার আগে নিউ জিল্যান্ডে প্রায় দুই মাস কোনো নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি।

আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটিতে কোভিড-১৯ এর টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। নিউ জিল্যান্ডের প্রায় ৫০ লাখ মানুষকে ফাইজার-বায়োএনটেকের কোভিড টিকা দেওয়া হবে।

রোববার নতুন করে যে তিনজনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে তারা হলেন অকল্যান্ডের বাসিন্দা এক দম্পতি এবং তাদের মেয়ে। তারা কিভাবে সংক্রমিত হলেন এবং তারা ভাইরাসের নতুন ধরনে সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

অ’ডুর্ন বলেন, ‘‘পরবর্তী তথ্য সংগ্রহ, বিস্তৃত আকারে পরীক্ষা এবং কমিউনিটি সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা জানার জন্য তিনদিনই যথেষ্ট হওয়া উচিত। আমরা বিশ্বাস করি সতর্ক থাকা খুবই জরুরি এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার এখনই সঠিক সময়।”

তিনদিন লকডাউন ঘোষণার পর অকল্যান্ডের সুপারমার্কেটগুলোতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বাসিন্দাদের বাজার করতে দেখা গেছে।

জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে অ’ডুর্ন বলেছেন, পণ্য মজুদ করার কোনো প্রয়োজন নেই। সুপারমার্কেট, ওষুধের দোকান এবং পেট্রোল স্টেশন লকডাউনের মধ্যেও খোলা থাকবে।

আক্রান্ত পরিবারের নারী সদস্য একটি এয়ারলাইন ক্যাটারিং কোম্পানিতে কাজ করেন। যে কারণে এয়ারলাইনগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছে।

অকল্যান্ড ছাড়া বাকি দেশেজুড়ে দুই স্তরের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোথাও ১০০ জনের বেশি জমায়েত হতে পারবেন না।