চলচ্চিত্র
শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিদ্যমান প্রেক্ষাগৃহগুলো সংস্কার ও আধুনিকায়ন
এবং নতুন প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণের উদ্দেশ্যে এই তহবিল থেকে স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়া যাবে।
গ্রাহক
পর্যায়ে এই তহবিলের ঋণের সুদের হার হবে মেট্রোপলিটন এলাকায় ৫ শতাংশ; আর মেট্রোপলিটন
এলাকার বাইরে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ
ব্যাংক রোববার এই বিশেষ তহবিলের নীতিমালা ঘোষণা করেছে। গত ২৭ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই তহবিল গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন হয়।
তিন
দশক আগেও বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার ৪০০টি প্রেক্ষাগৃহ বা সিনেমা হল ছিল। নানা কারণে
এ সংখ্যা ক্রমেই কমছে।
সরকার
ভাবছে, প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেওয়া হলে নতুন প্রেক্ষাগৃহ
নির্মাণের পাশাপাশি বিদ্যমানগুলোও আধুনিক করা যাবে।
এ
নীতিমালার অন্যান্য শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্সে বিদ্যমান সিনেপ্লেক্সসহ
নতুন নির্মিতব্য প্রেক্ষাগৃহ এই ঋণ সুবিধা পাবে।
তবে,
চলতি মূলধন বাবদ কোনো ব্যয় পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার আওতায় আসবে না। এছাড়া এ স্কিমের আওতায়
গৃহীত ঋণ দিয়ে অন্য কোনো ঋণের দায় শোধ করা যাবে না।
এই
তহবিল থেকে একটি প্রেক্ষাগৃহ পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ পাবে না।
এ
তহবিলের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ সুদে পুনঃঅর্থায়ন
সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। গ্রাহক পর্যায়ে মেট্রোপলিটন এলাকায় ৫ শতাংশ এবং মেট্রোপলিটন
এলাকার বাইরে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুদে ব্যাংক অর্থায়ন করবে।
এক
বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ষান্মাসিক/ত্রৈমাসিক কিস্তিতে সর্বোচ্চ আট বছরে ঋণ পরিশোধ করতে
হবে।
এই
ঋণ সুবিধা পেতে ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে হবে।