রোববার
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ
নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে
আশুলিয়া ও কেরানীগঞ্জ স্যাটেলাইট শহর স্থাপন নিয়ে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
এতে
বলা হয়- ঢাকা জেলার তুরাগ নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যা প্রবাহ এলাকা সংরক্ষণ রেখে
পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলার জন্য ‘বন্যা প্রবাহ এলাকা, জলাশয় সংরক্ষণ ও কমপ্যাক্ট
টাউনশিপ উন্নয়ন প্রকল্প এবং কেরানীগঞ্জে ‘ওয়াটারফ্রন্ট স্মার্ট সিটি’ প্রকল্প
গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্প দুটির ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি ও পরিবেশগত
স্ট্যাডির জন্য রাজউক ও চীনা রোড অ্যান্ড ব্রিজ কর্পোরেশনের (সিআরবিসি) মধ্যে
সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর
অনুশাসনের আলোকে ঢাকা শহরের বন্যা প্রবাহ অঞ্চল সংরক্ষণ এবং এসজিডির লক্ষ্যমাত্রা
অর্জনে তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত মিরপুর, সাভার ও টঙ্গীর অন্তর্ভুক্ত ৯ হাজার ১১৬
দশমিক ৬৪ একর এলাকা নিয়ে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের
উন্নয়ন এলাকা (আবাসিক, বাণিজ্যিক, নাগরিক পরিষেবা) ৩৮% এবং সংরক্ষিত এলাকা (জলাশয়,
সবুজায়ন, বিনোদন ব্যবস্থা ও খাল/নদীর বাঁধ নির্মাণ) হিসেবে ৬২% ভূমি ব্যবহারের
প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
এ
প্রকল্পের প্রাথমিক খসড়া ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট’ জমা হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ
চলমান জানিয়ে প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করতে শিগগিরই তা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো
হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
এতে
বলা হয়, ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় কৃষিভিত্তিক নগর গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘কেরানীগঞ্জ
মডেল টাউন’ আবাসন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রাথমিক
সীমানা নির্ধারণসহ নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির আয়তন এক হাজার ৮৪ একর
থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৪৫০ একর করা হয়েছে। এই অনুযায়ী ডিপিপি পুনর্গঠনের কাজ রাজউকে চলছে।
সংসদীয়
কমিটির বৈঠকে এ প্রকল্প দুটির গতি বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সংসদীয় কমিটির
সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রকল্প দুটি
যে গতিতে এগুচ্ছে তা সন্তোষজনক নয়। চীনা একটি প্রতিষ্ঠান আশুলিয়ার প্রজেক্টে বিনিয়োগের
আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। যেভাবেই হোক এটা বাস্তবায়ন করা উচিত।“
দ্রুত
বাস্তবায়নে গতিশীল নেতৃত্ব দরকার মন্তব্য করে সাবেক এই পূর্তমন্ত্রী বলেন, “কমিটির
মনে হয়েছে, রাজউক নিজেই এটি বাস্তবায়ন করতে পারে। এটি হট কেটের মতো চলবে।”
এদিকে
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে কমিটি চলমান প্রকল্পগুলো
মেয়াদের মধ্যে শেষ করতে জোর সুপারিশ করে।
বৈঠকে
চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক কাম
আবাসিক প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে দ্রুত
নিষ্পত্তি করতে সুপারিশ করা হয়।
চট্টগ্রাম
নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত মাস্টার প্ল্যান সময়োপযোগী করে পুনঃমাস্টার
প্ল্যান প্রণয়নের সুপারিশও করেছে সংসদীয় কমিটি।
এছাড়া
কমিটি বস্তিবাসীদের জন্য মিরপুরে ভাড়াভিত্তিক প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং
আরও নতুন প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করে।
কমিটি মিরপুরে ভাড়াভিত্তিক প্রকল্প এবং স্বপ্ন নগর সরেজমিনে পরিদর্শনের সিদ্ধান্তও
নিয়েছে।
মোশাররফ
হোসেনের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. মনোয়ার হোসেন
চৌধুরী, সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন ও ফরিদা খানম অংশ নেন।
