শনিবার এক বিবৃতিতে ইইউ এ আহ্বান জানায় বলে জানিয়েছে অ্যসোসিয়েটেড প্রেস।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের এই পদক্ষেপ বাক স্বাধীনতার টুটি চেপে ধরেছে, তথ্যপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করেছে, চীনা সংবিধান এবং মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাও এতে লঙ্ঘিত হয়েছে।
“ইইউ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি অনলাইন এবং অফলাইনে বাক স্বাধীনতা এবং ভিন্ন মত প্রকাশের অধিকারের সুরক্ষায় দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
গত ১২ ফেব্রুয়ারিতে চীনের বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়। করোনাভাইরাস মহামারী এবং উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের যেসব প্রতিবেদন সাম্প্রতিক সময়ে বিবিসি প্রকাশ করেছে, সেগুলোর সমালোচনা করে চীন এই সম্প্রচার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
চীনের চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও বেতার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিবিসি’র সেসব প্রতিবেদনে চীনের সম্প্রচার নীতিমালার ‘মারাত্মক লঙ্ঘন’ ঘটেছে।
ওই নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘সংবাদ হতে হবে সত্য এবং নিরপেক্ষ; চীনের জাতীয় স্বার্থের জন্য তা ক্ষতিকর হওয়া চলবে না’। সেই শর্ত পূরণে বিবিসি’র ওই প্রতিবেদন ব্যর্থ হয়েছে বলে চীনের ভাষ্য।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব চীনের পদক্ষেপের সমালোচনা করে একে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার অগ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর চীনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছে, এটা ‘গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের বৃহৎ পরিকল্পনারই অংশ’।