ক্যাটাগরি

আল-জাজিরার প্রতিবেদনটি ইন্টারনেট থেকে ‘সরাতে’ হাই কোর্টের নির্দেশ

তবে
বাংলাদেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের বিষয়ে কোনো আদেশ আদালত দেয়নি।

ছয় অ্যামিচি কিউরি ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার বক্তব্য শোনার পর বুধবার এ সংক্রান্ত
রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেয় বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো.
কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ।

আদালতের
আদেশে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ ইন্টারনেটে সব ধরনের
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।

আল-জাজিরার
ওই প্রতিবেদনের সমালোচনা করে আসা তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ একদিন আগে বলেছিলেন, “কোনো
সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যদি হাই কোর্টে কিংবা আদালতে যায়, সেক্ষেত্রে আদালত থেকে যদি কোনো
নির্দেশনা পাই, তাহলে আদালতের নির্দেশনা অবশ্যই আমরা (সরকার) পালন করব।”

গত
১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ প্রতিবেদনটি প্রচার করে আল-জাজিরা
টেলিভিশন।

এর
প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে আল জাজিরার ওই প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা
ও মানহানিকর’ হিসেবে বর্ণনা করে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও ওই প্রতিবেদনকে বর্ণনা করা
হয় ‘সাজানো এবং দুরভিসন্ধিমূলক’ হিসেবে।

এরপর
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিট
আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এনামুল কবির ইমন।

আল-জাজিরায়
সম্প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ প্রতিবেদনটি ইউটিউব, ফেইসবুক ও টুইটার
থেকে অপসারণের নির্দেশনাও চান তিনি।

গত
বুধবার এ রিট আবেদনের শুনানিতে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক মো. মজিবুর রহমান মিয়া বলেছিলেন,
“সুনির্দিষ্ট আইন ও কর্তৃপক্ষ থাকার পরেও গত ১০ দিনে কেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে
ওই ভিডিও অপসারণ করা গেল না? এখন তো দেশ ও বিদেশের কোটি কোটি লোক এটা প্রত্যক্ষ করেছে।
এখন এটা বন্ধ বা অপসারণ করা না করা একই কথা।”

তিনি
আরও বলেছিলেন, “বিটিআরসি যদি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে না পারে, তাহলে তারা ওখানে বসে
আছে কেন?”

এই
রিট আবেদনের শুনানির জন্য আদালত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু, এ জে মোহাম্মদ
আলী, ফিদা এম কামাল, কামাল উল আলম, প্রবীর নিয়োগী ও শাহদীন মালিকের বক্তব্য শুনতে চায়।

তাদের
মধ্যে মতিন খসরু ছাড়া বাকি সবাই মত দেন যে এই রিট আবেদন চলতে পারে না।