প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বুধবার কমিশন সভা শেষে এ তথ্য জানান ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপির মধ্যে কয়েক ধাপে ভোট হবে। ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপের
ইউপি ভোটের
সঙ্গে পৌর নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপে ৯টি পৌরসভার ভোটও রয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, দেশের ২০ জেলার ৬৩ উপজেলার ৩২৩ ইউপিতে ভোট ১১ এপ্রিল হবে। সেই লক্ষ্যে মার্চের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে।
ইতোমধ্যে
এই ৩২৩ ইউনিয়ন পরিষদের তালিকাও চূড়ান্ত করেছে ইসি। স্থানীয় সরকারের এ প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে
নির্বাচন
হবে।
ইসি
সচিব জানান,
প্রথম ধাপে ৪১টি ইউপিতে ইভিএমে ভোট হবে। সেদিন
৯টি পৌরসভাতেও ভোট হবে
ইভিএমে।
“কমিশনের লক্ষ্য একটাই। অবাধ,
সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক ভোট হবে। সেজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ থাকবে।”
দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২২ মার্চ থেকে জুনের
মধ্যে ছয় ধাপে এসব
ইউপিতে ভোট হয়।
২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার
(ইউনিয়ন পরিষদ) আইনে ২৯ ধারায়
বলা হয়েছে, পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কার্যকাল হবে প্রথম সভা অনুষ্ঠানের তারিখ থেকে পাঁচ বছর। পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার
আগের ১৮০ দিনের মধ্যে
নির্বাচন
হবে।
দৈব-দুর্বিপাকজনিত বা অন্য কোনো কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা না গেলে সরকার লিখিত আদেশ দিয়ে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কিংবা অনধিক ৯০ দিন পর্যন্ত
সংশ্লিষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষমতা দিতে পারবে।