বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেন তিনি।
মাহমুদুল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে তাকে সাময়িক বহিস্কার করে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
মতবিনিময় সভায় মাহমুদুল হক ভূঁইয়া বলেন, “আমাকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার জেলা আওয়ামী লীগের নেই। বহিষ্কার করলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে করতে হবে। আমি বিদ্রোহী প্রার্থী নই; জনগণের প্রার্থী। জনগণ আমাকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে।”
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি প্রার্থী হওয়ায় আমার সাথে যে সকল নেতাকর্মী কাজ করে যাচ্ছে- আমিসহ তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। আমার কর্মীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, তাদের মনোবল নষ্ট করার জন্য। কিন্তু পৌরসভার জনগণের ভালোবাসা আমাকে সাহস যোগাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনও আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে পিছপা হইনি। জেল-জুলুমের ভয় আমাকে অতীতেও দেখানো হয়েছে। জনগণের ভালোবাসায় ২৮ ফেব্রুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বাচন হলে আমি ৮০ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হব।”
মোবাইলফোন প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মাহমুদুল হকের নির্বাচনী ইশতারে ১৭টি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে শহরের যানজট নিরসনে একাধিক বিকল্প সড়ক নির্মাণ, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থা প্রকল্প প্রণয়ন, প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে নূন্যতম একটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সকল কার্যক্রম প্রযুক্তি নির্ভর ও ডিজিটালাইজড করা, অনলাইনে পৌরকর প্রদানের সুবিধা, পৌরসভার নিজস্ব ট্রাফিক ব্যবস্থা, পৌরসভার সকল খাল দখলমুক্ত করে পুনঃখনন ও সৌন্দর্যবর্ধন অন্যতম।