ক্যাটাগরি

এমবাপের হ্যাটট্রিকে বার্সার মাঠে পিএসজির জয়োল্লাস

কাম্প নউয়ে মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ৪-১ গোলে জিতেছে পিএসজি।

ম্যাচের শুরুতেই বিপদে পড়তে পারতো বার্সেলোনা। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের উঁচু করে বাড়ানো বলে ডি-বক্সের বাইরে পা লাগিয়েছিলেন এমবাপে; কিন্তু নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি। এগিয়ে এসে বিপদমুক্ত করেন মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। ১৯তম মিনিটে ছয় গজ বক্সের বাঁ থেকে মাউরো ইকার্দি ওয়ান-অন-ওয়ানে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও তার শটে গতি ছিল না। ছুটে গিয়ে ঠেকান পেদ্রি।

পিএসজির এই দুই প্রচেষ্টার মাঝে ভালো সুযোগ পায় বার্সেলোনা। তবে কাছ থেকে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি অঁতোয়ান গ্রিজমান। বল নিয়ন্ত্রণে নিতেও বেগ পেতে হয়নি গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে।

২৭তম মিনিটে মেসির সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সে ফ্রেংকি ডি ইয়ং পেছন থেকে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

আসরে মেসির এটি চতুর্থ গোল। চারটিই পেনাল্টি থেকে। মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে তার গোল হলো ২০।

পিছিয়ে পড়ে যেন তেতে ওঠে পিএসজি। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। চাপ ধরে রেখে পাঁচ মিনিট পর গোলও পেয়ে যায় তারা। ডি-বক্সে মার্কো ভেরাত্তির দারুণ পাস ধরে ক্লেমোঁ লংলেকে কাটিয়ে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে টের স্টেগেনকে পরাস্ত করেন এমবাপে।

প্রথমার্ধের বাকি সময়ে দুই দলই একটি করে ভালো সুযোগ পায়। লেইভিন কুরজাওয়ার শট টের স্টেগেন কর্নারের বিনিময়ে ঠেকানোর দুই মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে গ্রিজমানের কোনাকুনি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম পাঁচ মিনিটে দারুণ দুটি সুযোগ পায় সফরকারীরা। গতিতে বারবার বার্সেলোনার রক্ষণে ভীতি ছড়ানো এমবাপের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর মোইজে কিনের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান টের স্টেগেন।

চাপ ধরে রেখে ৬৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। ডান দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে আলেস্সান্দ্রো ফ্লোরেন্সির ক্রস ঠেকাতে পারেননি টের স্টেগেন, পেছনে ছুটে আসা পিকে চেষ্টা করেন, কিন্তু তার পায়ে লেগে বল চলে যায় এমবাপের কাছে। জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।

খানিক পর তার হ্যাটট্রিকও হতে পারতো। তবে এবার তার শট পা দিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক। তবে একটু পরেই আরেক গোল হজম করে তারা। ৭০তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে লেয়ান্দ্রো পারেদেসের দারুণ ফ্রি-কিকে গোলমুখ থেকে কোনাকুনি হেডে টের স্টেগেনকে পরাস্ত করেন ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড কিন।

আর ৮৫তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এমবাপে। ইউলিয়ান ড্রাক্সলারের পাস পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড।

পিএসজির জার্সিতে নকআউট পর্বে আগের নয় ম্যাচে মাত্র এক গোল করেছিলেন এমবাপে। ১০ ম্যাচে হয়ে গেল চারটি।

 

(বিস্তারিত আসছে)